TMC leader murder: তৃণমূল নেতা মতিরুল ইসলাম খুনে গ্রেফতার আরও ২ দলের কর্মী

Nadia: এই নিয়ে মতিরুল খুনে মোট গ্রেফতারের সংখ্যা বেড়ে হল ১০। মতিরুলের স্ত্রী রিনা খাতুন বিশ্বাসের অভিযোগ পত্রে নাম রয়েছে ধৃত দু’জনেরই।

TMC leader murder: তৃণমূল নেতা মতিরুল ইসলাম খুনে গ্রেফতার আরও ২ দলের কর্মী
গ্রেফতার হওয়া দুই তৃণমূল কর্মী (নিজস্ব চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 18, 2022 | 7:44 AM

নদিয়া: নদিয়ার তৃণমূল নেতা মতিরুল ইসলাম খুনে গ্রেফতার আরও দুই তৃণমূল কর্মী। ধৃতরা হলেন রাজকুমার মণ্ডল ওরফে খালেক ও পিঙ্কু মণ্ডল। এরা দুজনই নওদা ব্লক তৃণমূল সভাপতি ঘনিষ্ঠ। ধৃতদের শনিবার দুপুরে দমদম থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। খুনের পর থেকেই পলাতক ছিল অভিযুক্তরা।

এই নিয়ে মতিরুল খুনে মোট গ্রেফতারের সংখ্যা বেড়ে হল ১০। মতিরুলের স্ত্রী রিনা খাতুন বিশ্বাসের অভিযোগ পত্রে নাম রয়েছে ধৃত দু’জনেরই। সেই এফআইআরে নাম থাকা ১০ জনের মধ্যে এই প্রথম কেউ গ্রেফতার হল। এই পর্যন্ত ঘটনায় প্রায় মোট ন’জনকে গ্রেফতার হয়েছে। গতকাল মোবাইল লোকেশন ট্র্যাক করে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে নওদা থানার পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে খবর, রাজকুমার নদিয়ার থানারপাড়া থানা এলাকার আজলামপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি এলাকায় মাটি ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত। তার বিরুদ্ধে একাধিক থানায় খুন, খুনের চেষ্টা, মাদক পাচারের মতো অভিযোগ রয়েছে।

অন্য দিকে পিঙ্কুর বাড়ি থানারপাড়া থানার পরানপুর এলাকায়। স্থানীয় একাধিক ক্লাব সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত তিনি। রক্তদান শিবির এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও প্রধান উদ্যোক্তা তিনি। তাঁর স্ত্রী রাবেয়া ২০১৮ সাল থেকে করিমপুর ২ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য। পুলিশের দাবি, যে ইটভাটা নিয়ে বিবাদ তার অন্যতম অংশীদার পিঙ্কু।

উল্লেখ্য,  এর আগে সাইদ বিশ্বাস ওরফে বিশ্বজিৎ ও খতিব মণ্ডল ওরফে ইস্রাফিল নামে এই ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গতমাসে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় তৃণমূল নেতা মতিরুল ইসলামের। তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী মতিরুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। এই ঘটনায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ সামনে আসে।

পরিবারের পক্ষ থেকে নওদা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি শফিউজ্জামান শেখ ও নদিয়া জেলা পরিষদের সদস্য টিনা ভৌমিক সাহা-সহ মোট ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। মৃতের স্ত্রী সিআইডি তদন্তের দাবিও জানান।

নদিয়ার নারায়ণপুর-২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের স্বামী মতিরুল নিজেও করিমপুর ২ ব্লকের তৃণমূল সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি ছিলেন। তাঁদের ছেলে নওদার একটি বেসরকারি স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে হোস্টেলে থেকে পড়াশোনা করে। তার সঙ্গে দেখা করতে মাঝেমধ্যেই নওদা যেতেন মতিরুল। বৃহস্পতিবারও সেখানে গিয়েছিলেন। অভিযোগ, সেখানেই মোটরবাইক আটকে বোমা মারা হয়। সেখানে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তাঁকে গুলি করা হয়। মৃত্যু নিশ্চিত করতে হাতের শিরায় ব্লেড দিয়ে কাটা হয় বলেও অভিযোগ।