Samserganj Jangipur By-Election: ‘ভোট দিতে না গেলে তো জানতেই পারতাম না যে মরে গেছি!’
Samserganj Vote: ভোট দিতে গিয়ে জানলেন তাঁরা মারা গিয়েছেন। সচিত্র ভোটার কার্ড দেখিয়ে লাভ হল না। ভোটার লিস্টে তাঁরা 'মৃত' বলে ভোটকেন্দ্র থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হল সামসেরগঞ্জ (Samserganj) বিধানসভা কেন্দ্রের দুই ভোটারকে।
সামসেরগঞ্জ: ভোট দিতে গিয়ে জানলেন তাঁরা মারা গিয়েছেন। সচিত্র ভোটার কার্ড দেখিয়ে লাভ হল না। ভোটার লিস্টে তাঁরা ‘মৃত’ বলে ভোটকেন্দ্র থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হল সামসেরগঞ্জ (Samserganj) বিধানসভা কেন্দ্রের দুই ভোটারকে। একজন তরুণ, আরেকজন ৭২ বছরের বৃদ্ধা। ভোট দিতে না পেরে বিরক্তি প্রকাশ করে বললেন, ‘ভোট দিতে না গেলে তো জানতেই পারতাম না যে মরে গেছি!
বৃহস্পতিবার দুপুর নাগাদ নিজেদের ভোট কেন্দ্রে ভোট দিতে যান সামসেরগঞ্জ বিধানসভার বাসিন্দা এক যুবক ও এক বৃদ্ধা। ভোটার কার্ড নিয়ে গিয়েও ভোটার লিস্টে ‘মৃত’ বলে দেখানোয় ভোট দিতে পারেননি তাঁরা। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। জানা গিয়েছে, সামসেরগঞ্জ বিধানসভার জয়কৃষ্ণপুর গ্রামের যুবক মোহাম্মদ অসিকুল মোমিন। বয়স মাত্র ২২ বছর। বিগত দিনে পঞ্চায়েত নির্বাচন ও পরবর্তীতে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে ভোট দিলেও এদিন জয়কৃষ্ণপুর প্রাইমারি স্কুলে ১০৪ নম্বর বুথে গিয়ে দেখেন তিনি ‘মৃত’! ফলে ভোট দিতে না পেরে হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরে আসতে হয় মোহাম্মদ অসিকুল মোমিনকে।
অপরদিকে একই ঘটনা ঘটেছে সামসেরগঞ্জের নিমতিতা গ্রাম পঞ্চায়েতের নতুন শিবনগর গ্রামের বাসিন্দা সামেনা বিবির ক্ষেত্রে। ৭২ বছর বয়সী মহিলা সামেনা বিবিকেও ভোটার লিস্টে মৃত বলে ঘুরিয়ে দেওয়া হয় ভোট কেন্দ্র থেকে। অথচ তিনি এখনও রীতিমতো বিধবা ভাতা ও পেনশন পান! অবিলম্বে নির্বাচন কমিশনের কাছে হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
ওই বৃদ্ধার কথায়, ‘অফিসার বলে নাম নেই তোমার, বলে, ‘মারা গেছো তুমি! আমি মারা গেছি?’ বেকার ভাতা পাই, পেনশন পাচ্ছি। আমি তো বেঁচে আছি!’ ভোট দিতে না পারার খেদ ঝরে পড়ে ৭২-এর বৃদ্ধার। আর বছর ২২ -এর ওই তরুণের কথায়, “আমি ভোট দিতে গিয়েছিলাম। আমাকে বলল আপনি মৃত! আমি বললাম, ‘আজব! আমি এই যে সামনে দাঁড়িয়ে আছি।’ এর আগে পঞ্চায়েত ও লোকসভা ভোট দিয়েছি।” এর পর নাকি দায়িত্বে থাকা অফিসার জানিয়ে দেন, তাঁদের করণীয় কিছু নেই। আবার ভোটার তালিকায় নাম তুলতে হবে তাঁকে। নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট না দিতে পেরে বিরক্ত ওই তরুণ বলছেন, ‘গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারলাম না!’
এদিকে স্থানীয় তৃণমূল নেতার কথায়, “দু’জন ভোট দিতে পারেননি বলে শোনেছি। এঁদের ভোটার লিস্টে দেখেছি নাম আছে। কিন্তু কমিশনের লিস্টে বলছে ডেড! মন্তব্য স্থানীয় তৃণমূল নেতার। তিনি যোগ করেন, এ নিয়ে প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। শুধু শুধু দুটো ভোট নষ্ট হল। ভোটাররাও তাঁদের ভোটদানের অধিকার থেকে বঞ্চিত হলেন।”