Corona: নদিয়ায় কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে ২৯ সহপাঠী করোনা আক্রান্ত, বাড়ছে আতঙ্ক!
Nadia: ওমিক্রন আতঙ্কের মধ্যে নয়া উদ্বেগ নদিয়ায় (Nadia)। একই স্কুলের ২৯ জন ছাত্রছাত্রীর করোনা পজিটিভ! বাাড়তে পারে আরও আক্রান্তের সংখ্যা! তীব্র আশঙ্কা ও উদ্বেগ ছড়িয়েছে নদিয়ার এক কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে।
নদিয়া: ওমিক্রন আতঙ্কের মধ্যে নয়া উদ্বেগ নদিয়ায় (Nadia)। একই স্কুলের ২৯ জন ছাত্রছাত্রীর করোনা পজিটিভ! বাাড়তে পারে আরও আক্রান্তের সংখ্যা! তীব্র আশঙ্কা ও উদ্বেগ ছড়িয়েছে নদিয়ার এক কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে।
সূত্রের খবর, দুই দিন আগে ওই বিদ্যালয়ের দুই ছাত্রের মধ্যে জ্বর ও সর্দি-কাশির লক্ষণ দেখা যায়। ক্লাসে এলে স্কুল কর্তৃপক্ষ তরফে তাদের কল্যাণী জওহরলাল নেহরু মেমোরিয়াল হাসপাতালে করোনা টেস্ট করার জন্য পাঠানো হয়। নমুনা সংগ্রহ করার পর ওই দুই জনের মধ্যে করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে।
এর পরই আতঙ্ক ছড়ায়। ওই দুই ছাত্র যেহেতু সহপাঠীদের সঙ্গে মেলামেশা করেছে, এক সঙ্গে চলাফেরা করেছে সেই কারণে স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে সবার করোনা পরীক্ষা করার পদক্ষেপ করা হয়। ২ দিন আগে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের সাহায্যে স্কুলের মধ্যেই আরটি পিসিআর ক্যাম্প বসানো হয়। সেখানে মোট ৩২৪ জন পড়ুয়ার করোনা পরীক্ষা হয়।
এই পরীক্ষায় দেখা যায় ২৭ জন ছাত্রছাত্রীর মধ্যে করোনাভাইরাস রয়েছে। সব মিলিয়ে ২৯ জন পড়ুয়া করোনা আক্রান্ত। সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মৌসুমী নাগ বলেন, এদিন যাদের করোনা সংক্রমণ পরীক্ষা করার জন্য নমুনা নিতে বাকি ছিল, তাদেরও প্রত্যেকের আমরা টেস্ট করিয়েছি। আগামী দিনে তাদের রিপোর্ট এলে বোঝা যাবে আরও করোনা সংক্রমণ রয়েছে কিনা।
তিনি আরও জানান, এখনও পর্যন্ত স্কুল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। বলেন, ভবিষ্যতে আমরা রিপোর্ট পাঠাব দফতরের। উপর মহলের নির্দেশ মেনে চলবেন তাঁরা। এদিকে ওই পড়ুয়াদের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় অভিভাবক থেকে শিক্ষকরা সবাই উদ্বেগে রয়েছেন। আরও কয়েকজনের করোনা পরীক্ষা রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে। আপাতত স্কুল খোলা রয়েছে। স্যানিটাইজেশনের কাজ হয়েছে বলে জানান স্কুল কর্তৃপক্ষ।
এদিকে করোনা পরিস্থিতিতে নয়া মাথাব্যথা এখন নয়া স্ট্রেইন ওমিক্রন। এ রাজ্যেও ঢুকে পড়েছে ওমিক্রন। মোট চার ওমিক্রন আক্রান্তে খোঁজ মিলেছে। রাজ্যে প্রথম ওমিক্রনে আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল ১৫ ডিসেম্বর। মুর্শিদাবাদের সাত বছর বয়সি এক বালক ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছিল। সে তাঁর পরিবারের সঙ্গে আবুধাবি থেকে হায়দরাবাদ হয়ে রাজ্যে ফিরেছিল। এরপর ২০ ডিসেম্বর খোঁজ মেলে আরও এক আক্রান্তের। যদিও দিল্লিতেই ওই ব্যক্তির শরীরে ওমিক্রনের সংক্রমণ ধরা পড়েছিল। ১০ ডিসেম্বর তিনি দিল্লির এক হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে রিপোর্ট নেগেটেভ হওয়ার পর সুস্থ হয়ে রাজ্যে ফিরেছিলেন। এর পর বুধবার আরও দুইজনের শরীরে ওমিক্রনের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে।
আরও পড়ুন: Omicron in Bengal: ওমিক্রনে আক্রান্ত আরও ২, রাজ্যে নয়া ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ বেড়ে ৪
আরও পড়ুন: TMC: দলের জন্মদিন থেকে প্রজাতন্ত্র দিবস, কী কী করতে হবে; জেলার নেতাদের বিস্তারিত জানাল তৃণমূল