বিজেপি কর্মী ধর্ম মণ্ডল হত্যা মামলায় আত্মসমর্পণ ২ তৃণমূল নেতার

Post Poll Violence: সিবিআই (CBI) ও পুলিশ সূত্রে খবর, ধর্ম মণ্ডল মৃৃত্যু-মামলায়  আগে থেকেই তদন্তকারীদের সন্দেহের তালিকায় ছিলেন হৃদয়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য় কালু শেখ অস্থায়ী সদস্য বিভাস বিশ্বাস

বিজেপি কর্মী ধর্ম মণ্ডল হত্যা মামলায় আত্মসমর্পণ ২ তৃণমূল নেতার
বাঁদিকে তৃণমূলের অস্থায়ী সদস্য বিভাস বিশ্বাস, ডানদিকে তৃণমূল নেতা কালু শেখ, নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 31, 2021 | 9:45 PM

নদিয়া:  ভোট পরবর্তী হিংসা তদন্তে  হৃদয়পুরের বিজেপি (BJP) কর্মী নিহত ধর্ম মণ্ডলের খুনের ঘটনায় আগেই অসীমা ঘোষ ও বিজয় ঘোষকে গ্রেফতার করেছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এ বার, খুনের ঘটনায় হৃদয়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য কালু শেখ ও পঞ্চায়েতের অস্থায়ী সদস্য বিভাস বিশ্বাস আত্মসমর্পণ করেন। মঙ্গলবার দুপুরে, কৃষ্ণনগর আদালতে আত্মসমর্পণ করেন ওই দুই তৃণমূল (TMC) নেতা।

সিবিআই (CBI) ও পুলিশ সূত্রে খবর, ধর্ম মণ্ডল মৃৃত্যু-মামলায়  আগে থেকেই তদন্তকারীদের সন্দেহের তালিকায় ছিলেন হৃদয়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য় কালু শেখ অস্থায়ী সদস্য বিভাস বিশ্বাস। তাঁদের ডেকে আগে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছিল। কিন্তু প্রমাণের অভাবে ওই দুই তৃণমূল সদস্যকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এদিন, আদালতে সরকারি আইনজীবীদের পক্ষ থেকে এক আইনজীবী ওই দুই তৃণমূল নেতার জামিনের আবেদন করেন। কিন্তু, আদালতের রায়ে সেই জামিন নাকচ হয়ে যায়। পরিবর্তে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়।

গত ১৪ মে হৃদয়পুরে নিজের বাড়িতেই খুন হন ধর্ম মণ্ডল। অভিযোগ তীর ছিল তৃণমূলের দিকে। বাড়িতে ঢুকে ওই বিজেপি কর্মীর উপরে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে ভর্তি করা হয় চাপড়া গ্রামীণ হাসপাতালে। সেখান থেকে তাঁকে পাঠানো হয় শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে। তারপর তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় কলকাতার এনআরএস হাসপাতালে। সেখানেই গত ১৬ মে মৃত্যু হয় ধর্মের।

পারিবারিক অভিযোগের  ভিত্তিতে পুলিশ প্রাথমিকভাবে গ্রেফতার করে ৭ জনকে। তবে পরিবারের অভিযোগ, পঞ্চায়েত সদস্য কালু শেখের নেতৃত্বে ওই হামলা হলেও তাঁকে গ্রেফতার করা হয়নি। এছাড়াও, অসীমা ঘোষ ও বিজয় ঘোষও এই খুনের ঘটনায় জড়িত বলে অভিযোগ করেছিল মৃতের পরিবারের। এ নিয়ে সিবিআই তদন্তের দাবিও জানিয়েছিলেন তাঁরা।

নিহত বিজেপি কর্মীর বাড়িতে বাড়িতে শুক্রবারই গিয়েছিলেন সিবিআইয়ের প্রতিনিধিরা। ফের শনিবার সেখানে যান তাঁরা। গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে ঢোকে সিবিআই। অভিযোগ, সেখানে তখন ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্পের ডাটা এন্ট্রির কাজ করছিল এক কর্মী ও নৈশ রক্ষী। সিবিআই সেখানে ঢুকে বেশ কিছুক্ষণ তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে। অভিযোগ, তৃণমূল কর্মীরা সে খবর জানার পরই গ্রামপঞ্চায়েত অফিসের সামনে জমায়েত করেন। সিবিআইয়ের গাড়ির চাকার হাওয়া খুলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় চাপড়া থানার পুলিশ বাহিনী।  এরপরেই অসীমা ঘোষ ও বিজয় ঘোষকে আটক করে সিবিআই। এদিন সারাদিন জিজ্ঞাসাবাদের পর ধর্ম মণ্ডলের খুনের ঘটনায় প্রত্য়ক্ষে যুক্ত থাকার অভিযোগে অসীমা ঘোষ ও বিজয় ঘোষকে গ্রেফতার করে সিবিআই।

অন্যদিকে, রাজ্যে  ১৫টি খুন ও ৬ টি ধর্ষণের মামলায় নতুন করে আরও ১০ টি এফআইআর দায়ের করেছে সিবিআই। ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় দিল্লিতে সিবিআই-এর সদর দফতরে ৯টি এফআইআর রুজু করা হয়েছিল আগেই। শুক্রবার, এই মামলায় আরও ২ টি  এফআইআর রুজু করা হয়। শনিবার আরও ১০ টি এফআইআর দায়ের করে। পরে, আরও ৭টি এবং মঙ্গলবার আরও ৩টি এফআইআর দায়ের করেছে সিবিআই। আরও পড়ুন: সেয়ানে-সেয়ানে টক্কর! একই দিনে CID ও CBI পৌঁছল নন্দীগ্রামে