Nabadwip Municipality: জলের কানেকশনের নামে তোলাবাজির অভিযোগ, খবর সংগ্রহে গিয়ে আক্রান্ত টিভি নাইন বাংলা
Journalist Heckled: সাংবাদিককে ধাক্কা মেরে সরিয়ে দেওয়া হয়। যে ব্যক্তি ধাক্কা মেরে শাসানি দিচ্ছিলেন, তাঁর নাম উজ্জ্বল দেবনাথ। এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী বলেই পরিচিত ওই ব্যক্তি।
নদিয়া: নবদ্বীপে (Nabadwip) জলের সংযোগের জন্য (Drinking Water Connection) তোলাবাজির অভিযোগের খবর আগেই প্রকাশ করেছে টিভি নাইন বাংলা। পানীয় জলের সংযোগের জন্য বাড়িওয়ালাদের থেকে তিন হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সেই টাকা দিতে না পারলেই নাকি জলের সংযোগ কেটে দেওয়া হচ্ছে। আর এই গোটা অভিযোগে কাঠগড়ায় উঠছে নবদ্বীপের তৃণমূল পরিচালিত পুরসভা। সেই খবর প্রকাশিত হতেই আক্রান্ত টিভি নাইন বাংলার প্রতিনিধি। সাংবাদিককে ধাক্কা মেরে সরিয়ে দেওয়া হয়। যে ব্যক্তি ধাক্কা মেরে শাসানি দিচ্ছিলেন, তাঁর নাম উজ্জ্বল দেবনাথ। এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী বলেই পরিচিত ওই ব্যক্তি।
প্রসঙ্গত, সোমবার নজরুল মঞ্চের বৈঠক থেকেও সংবাদমাধ্যমকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেওয়ার বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেছেন, “সংবাদমাধ্যম হল সমাজ ও গণতন্ত্রের একটি বড় স্তম্ভ। সংবাদমাধ্যমকে যদি স্বাধীনভাবে কথা বলতে দেওয়া না হয়, তাহলে পরাধীনতার থেকেও বেশি তাদের দায়বদ্ধতা তো সরকারের কাছে।” মুখ্যমন্ত্রী যখন এই মন্তব্য করছেন, সেই দিনেই নদিয়ার নবদ্বীপে আক্রান্ত টিভি নাইন বাংলার প্রতিনিধি। সাংবাদিককে গালিগালাজও করা হয় ক্যামেরার সামনে। হুমকির সুরে আঙুল উঁচিয়ে ওই ব্যক্তিকে বলতে শোনা যায়, “নীরবে কাজ করবেন। ওদিকে যান। পাড়ায় পাড়ায় ঘুরছেন।” যদিও বিষয়টি নিয়ে নবদ্বীপ পুরসভার চেয়ারম্যানের কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও পাওয়া যায়নি।
তবে বিষয়টি নিয়ে কড়া সমালোচনা করেছেন বিজেপির রাজ্য মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, “যারা মৃতদেহের বালিশের নীচ থেকে ২০০ টাকা বের করে নেয়, তারা জল দেবে সেখানে পয়সা নেবে না? এটি আশা করছেন কীভাবে আপনারা? তৃণমূল একটিও পরিকল্পনা দেখাতে পারবে না, যেটি তারা স্বচ্ছ্তার সঙ্গে পরিচালনা করেছে। এটিই তাদের সংস্কৃতি ও চলার পথ।”
বর্ষীয়ান সিপিএম নেতা অশোক ভট্টাচার্য বলেছেন, “তৃণমূল কংগ্রেস দলটাই এরকম। দুর্নীতিগ্রস্ত একটি দল। এদের কোনও নীতি নেই, দর্শন নেই, অভিমুখ নেই। উপর তলা ও নীচু তলার মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই। উপর তলার যদি সহযোগিতা না থাকে, তাহলে নীচু তলা এই কাজ করতে পারে না।”
বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করা হয়েছিল তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, “ভারতের মধ্যে একমাত্র রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ যেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৌজন্যে মানুষ বিনামূল্যে পানীয় জল পান। কলকাতা সহ বিভিন্ন পুরসভাগুলিতে কোথাও জলের কর বসানো হয়নি। যে ধরনের ঘটনা ঘটেছে, তা কাঙ্খিত নয়। সেটি তৃণমূলের কেউ করেছে, নাকি অন্য কেউ তৃণমূলকে বদনাম করার জন্য করেছে, সেটিও দেখতে হবে। তৃণমূল এই ধরনের বিষয়কে কখনও বরদাস্ত করে না। সাংবাদিকের উপর অত্যাচারও তৃণমূলের নীতি নয়। এটি অত্যন্ত নিন্দনীয়। যদি এর সঙ্গে তৃণমূলের কেউ জড়িত থাকে, দল এটিকে কোনওভাবেই সমর্থন করে না। তবে বিষয়টি অন্য কেউ তৃণমূলকে বদনাম করার জন্য করেছে কি না, তাও দেখতে হবে।”