Nadia: ইঞ্জেকশন দেওয়ার পরই একের পর এক শিশু অসুস্থ হওয়ার অভিযোগ, হইচই সরকারি হাসপাতালে
Nadia: রোগীর পরিজনদের অভিযোগ, ওই একাধিক ইঞ্জেকশন দেওয়ার পরই সংশ্লিষ্ট বিভাগে ভর্তি শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়ে। এই ঘটনা জানাজানি হতেই রীতিমতো আতঙ্ক ছড়ায় ওই বিভাগে।

নদিয়া: সরকারি হাসপাতালে অসুস্থ একাধিক শিশু। রোগীর পরিবারের অভিযোগ, বেশ কয়েক রকম ইঞ্জেকশন দেওয়ার পরই অসুস্থ হয়েছে ওই শিশুরা। সোমবার বিকেল থেকে আতঙ্ক ছড়ায় তেহট্ট মহকুমা হাসপাতালের শিশু বিভাগে। আতঙ্কের কারণে উত্তেজনা তৈরি হয় হাসপাতালে। ঘটনার বিষয়ে জানাজানি হতেই হাসপাতাল চত্বরে পৌঁছয় বিশাল পুলিশ বাহিনী তারা এসে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত করে। ইতিমধ্যেই ন’জন শিশুকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন সুপার বাপ্পাদিত্য ঢালি।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার সন্ধে পর্যন্ত জ্বর,পেট খারাপ,বমির সমস্যা ও অনান্য কারণে ভর্তি ছিল প্রায় ত্রিশ জনের কাছে শিশু। জানা গিয়েছে, ভর্তি শিশুদের অধিকাংশকেই হাসপাতাল থেকে জ্বর ,অম্বল কিংবা বমির ইনজেকশন দেওয়া হয়েছে। শিশুদের অভিভাবকদের দাবি, ওই বিভাগ থেকে জ্বরের অ্যান্টিবায়োটিক আনতে বলা হয়েছিল। যে কারণে অভিভাবকদের একাংশ হাসপাতালের বাইরে ওষুধের দোকান থেকে সেই ওষুধ কিনে আনেন। শিশুদের সেই অ্যান্টিবায়োটিকের পাশাপাশি হাসপাতাল থেকেও বিভিন্ন রোগের ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়। রোগীর পরিজনদের অভিযোগ, ওই একাধিক ইঞ্জেকশন দেওয়ার পরই সংশ্লিষ্ট বিভাগে ভর্তি শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়ে। এই ঘটনা জানাজানি হতেই রীতিমতো আতঙ্ক ছড়ায় ওই বিভাগে।
নীলরতন বৈরাগ্য নামে এক রোগীর আত্মীয় বলেন,”আমার ন’বছরের নাতনি ভর্তি। অমিও বাইরে থেকে একটি সংস্থার অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ আনি। তাঁর অভিযোগ, “সেই অ্যান্টিবায়োটিক ইঞ্জেকশন দেওয়ার পর নাতনির মুখ থেকে গ্যাজলা বের হতে থাকে। খুবই অসুস্থ হয়ে পড়ে। আমার নাতনির পাশাপাশি অনেকের ওই রকম পরিস্থিতি তৈরি হয়।” প্রীতবাস সরকার বলেন, “সাড়ে সাত বছরের আমার ছেলে চারদিন ধরে ভর্তি। আজ সকালে বাইরে থেকে আনা ওই ওষুধের ও অনান্য ইনজেকশন দেওয়ার পর প্রথম অসুস্থ হয়ে পড়ে। এরপর দুপুরে ওই একই ইঞ্জেকশন দেওয়ার পর আবার অসুস্থ হয়ে পড়ে। বাধ্য হয়ে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাই।”
এবিষয়ে তেহট্ট মহকুমা হাসপাতাল সুপার বাপ্পাদিত্য ঢালি বলেন,”শিশুরা বিভিন্ন রোগেই ভর্তি ছিল। তাদের বিভিন্ন ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়েছে। তবে কোন ইঞ্জেকশন থেকে শিশুরা অসুস্থ হয়েছে,তা এখনই বলা সম্ভব নয়। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জ্যোতিষ চন্দ্র দাসকে ফোন করা হলেও যোগাযোগ করা যায়নি।





