AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

IISER Kolkata : ‘ছেলে বহু রূপে ফিরে এসেছে’, আইজারের পড়ুয়াদের মধ্যেই সন্তানকে খুঁজে পাচ্ছেন শুভদীপের মা

IISER Kolkata: শুভদীপের মৃত্যুর পর যেভাবে পড়ুয়ারা প্রতিবাদ জানিয়েছে, যেভাবে ঘটনা বিচারের দাবি করছে, তা দেখে শুভদীপের মা রঞ্জনা রায় বলেন বলেন, "এটা আমার কাছে ঈশ্বরের আশীর্বাদ। আমার ছেলে যেন অন্য রূপে বহু হয়ে আমার কাছে ফিরে এসেছে।"

IISER Kolkata : 'ছেলে বহু রূপে ফিরে এসেছে', আইজারের পড়ুয়াদের মধ্যেই সন্তানকে খুঁজে পাচ্ছেন শুভদীপের মা
কী বলছেন মৃত গবেষক পড়ুয়ার মা?
| Edited By: | Updated on: Apr 08, 2022 | 9:53 PM
Share

নদিয়া : আইজারের গবেষক পড়ুয়া শুভদীপ রায়ের সুইসাইড নোটে নাম রয়েছে অধ্যাপক চিরঞ্জীব মিত্রের। শুভদীপের পিএইচডি গাইড ছিলেন চিরঞ্জীব মিত্র। কিন্তু তিনি এখনও অধরা। মৃত গবেষক পড়ুয়ার মা বিচার চাইছেন। বিচার চাইছেন আইজারের বাকি পড়ুয়ারাও। শুভদীপের মৃত্যুর পর যেভাবে পড়ুয়ারা প্রতিবাদ জানিয়েছে, যেভাবে ঘটনা বিচারের দাবি করছে, তা দেখে শুভদীপের মা রঞ্জনা রায় বলেন বলেন, “এটা আমার কাছে ঈশ্বরের আশীর্বাদ। আমার ছেলে যেন অন্য রূপে বহু হয়ে আমার কাছে ফিরে এসেছে। এদের জন্য আমার তরফ থেকে বুকভরা ভালবাসা, প্রার্থনা ও আশীর্বাদ থাকবে।”

ছেলে হারা রঞ্জনা দেবী জানিয়েছেন, “আমার জীবন থেকে আমার সম্পদ চলে গিয়েছে। ও একটা সুইসাইড নোট লিখে গিয়েছে এবং সেখানে একজনকে দায়ী করে গিয়েছে। (শুভদীপ) যথেষ্ট মেধাবী ছিল, উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ ছিল। আমি চাই ওর মৃত্যুর জন্য সুইসাইড নোটে যাকে দায়ী করে গিয়েছে, যার জন্য এতটা কষ্ট পেতে পেতে খাদের কিনারায় চলে গিয়ে এবং নিজের জীবনকে শেষ করে দিতে হয়েছে, আমি তাঁর শাস্তি চাই।”

এদিকে ছেলের মৃত্যুর জন্য সিস্টেমকেই দায়ী করছেন শুভদীপের মা। বললেন, “আমি মনে করি, সিস্টেমের দোষের জন্য আমার ছেলে চলে গেল। কারণ, আমার ছেলে যে রিসার্ট গাইডের অধীনে কাজ করত, তিনি তার রিসার্চ ল্যাবরেটরির সমস্ত দায়িত্ব আমার ছেলের উপর ছেড়ে দিয়েছিলেন। তিনি কার্যত সেই ল্যাবরেটরির কিছুই দেখাশোনা করতেন না। যা করার আমার ছেলেকেই করতে হত। নিজের গবেষণার কাজ, সেই সঙ্গে ল্যাবরেটরি সংক্রান্ত যাবতীয় কাজ যেমন জুনিয়র স্টুডেন্টদের গবেষণার কাজ দেখাশোনা – সবকিছুই আমার ছেলেকে করতে হত। ল্যাবরেটরির সুপারভাইজার তিনি নামেই ছিলেন, কিন্তু সব কাজ আমার ছেলেকেই করতে হত।”

জানা গিয়েছে, পিএইচডি গাইড চিরঞ্জীব মিত্র তাঁকে গবেষণার কাজে ঠিকভাবে সাহায্য করছিলেন না। বরং অবহেলাই করতেন। আর এই নিয়েই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিল শুভদীপ। বিষয়টি তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের কাছে জানিয়েছিলেন ওই গবেষক পড়ুয়া। তারপর গত সোমবার ল্যাবরেটরির ভিতরে মুখে প্লাস্টিক প্য়াঁচানো অবস্থায় উদ্ধার হয় তাঁর দেহ। আইজারের পড়ুয়ার এই দেহ উদ্ধার ঘিরে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

আরও পড়ুন : IISER Kolkata: বাংলা মিডিয়ামের ছাত্র ইংরাজি বলতে অসুবিধায় পড়ছিল, আইজার কলকাতায় এর আগেও ঝরেছিল তরুণ প্রাণ!