Bengali Cinema: বিশ্ব দরবারে আলো ছড়াল রানাঘাটের প্রাথমিক শিক্ষকের ‘দোস্তজি’, ঝুলিতে ৭টি আন্তর্জাতিক পুরস্কার
Bengali Cinema: তুহিনের এই ছবি ইতিমধ্যেই একাধিক দেশের ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে প্রদর্শিত হয়েছে। ব্রিটেন, সুইডেন, জাপান সহ আরও একাধিক দেশে দেখানো হয়েছে তুহিনের এই 'দোস্তজি'
নদিয়া: ৯০ এর দশকের দুই শিশুর গল্প নিয়ে তৈরি সিনেমা ‘দোস্তজি’ জিতে নিল সাতটি আন্তর্জাতিক পুরস্কার (7 international awards)। নদিয়ার রানাঘাটের (Ranaghat In Nadia) বাসিন্দা তুহিন বিশ্বাসের তৈরি সিনেমা ভারত বাদে ২৬ টি দেশে প্রিমিয়ার শো হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। ভারতে আগামী ১১ নভেম্বর মুক্তি পেতে চলেছে ‘দোস্তজি’। ইতিমধ্যেই সিনেপাড়ায় রীতিমতো সাড়া ফেলে দিয়েছে এই সিনেমা(Cinema)।
পেশায় প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক তুহিনের নেশা স্টিল ফটোগ্রাফি। প্রথাগত পড়াশোনার পাশাপাশি ফটোগ্রাফি নিয়ে ডিপ্লোমা করেছেন তিনি। শিক্ষকতার পাশাপাশি ক্যামেরা নিয়ে ছবি তোলবার সুবাদে পরিচয় হয় পরিচালক প্রসূন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে। সেখানেই আলাপ। তারপরই এত বড় সিদ্ধান্ত। সূত্রের খবর, ছবিটি তৈরিতে খরচ হয়ে গিয়েছে প্রায় ২ কোটি টাকা। প্রাথমিকভাবে, ক্লাউড ফাইন্ডিংয়ের মাধ্যমে টাকা এলেও মাঝপথে তা বন্ধ হয়ে যায়। পুনরায় বিনিয়োগকারী খুঁজে তারপর করা হয় বাকি ছবির কাজ। সম্পূর্ণ ছবিটি এক ঘণ্টা একান্ন মিনিটের। ছবিটির শ্যুটিং শুরু হয় ২০১৮ সালের প্রথম দিকে। কাজ শেষ হয় ওই বছরেরই শেষ দিকে। মুর্শিদাবাদেও টানা ৬০ দিন হয় শ্যুটিং। মূলত গ্রাম বাংলার চিত্রকেই ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এই সিনেমায়।
তুহিনের এই ছবি ইতিমধ্যেই একাধিক দেশের ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে প্রদর্শিত হয়েছে। ব্রিটেন, সুইডেন, জাপান সহ আরও একাধিক দেশে দেখানো হয়েছে তুহিনের এই ছবি। এমনকি ২০২২ সালে ইউনেস্কোর সিআইএফইজে অ্যাওয়ার্ড জিতে নিয়েছে এই ছবি। ঝুলিতে এসেছে সাতটি আন্তর্জাতিক পুরস্কার। ছবির মূল চরিত্রে আছেন মাত্র চারজন। যাদের কেউই কোনও স্বনামধন্য অভিনেত্রী নন। একাধিক সাফল্য পাওয়ার পর স্বভাবতই খুশি ছবির কলাকুশলী সহ তুহিনের গোটা টিম। ছবি প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তুহিন বলেন, “আমরা কয়েকজন বন্ধুবান্ধব মিলে ক্রাউডফান্ডিং করে ছবিটা তৈরি করা শুরু করি। সেখান থেরে পরবর্তীতে আরও অনেক বিনিয়োগকারীরা আমাদের পাশে দাঁড়ান। শেষ পর্যন্ত সমস্ত কাজ শেষ হয় ২০২১ সালে। প্রথম ছবিটি দেখানো হয় লন্ডনের বিএফআই ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে। সেখানে ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার হয়। তারপর মালেশিয়া, জার্মানি সহ মোট ২৬টি দেশে সিনেমাটি দেখানো হয়। ৭টা আন্তর্জাতিক অ্যাওয়ার্ড পেয়েছি।”