Nabadwip Municipality: নাটকে রোষ! নবদ্বীপ পুরসভায় বন্ধ করে দেওয়া হল উৎপল দত্ত রচিত ‘ব্যারিকেড’
Nabadwip Municipality: কিন্তু কী কারণে নাটক বন্ধের নির্দেশ, তা এখনও নবদ্বীপ পৌরসভার তরফ থেকে স্পষ্ট করে বলা হয়নি। চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছিল, কিন্তু কোনওভাবেই তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি
নদিয়া: আবার নাটকে রোষ। কল্যাণীর পর বিতর্কে এবার নবদ্বীপ পৌরসভা। বন্ধ করে দেওয়া হল উৎপল দত্ত রচিত দেবেশ চট্টোপাধ্যায় নির্দেশিত চাকদহ নাট্যজন প্রযোজিত ‘ব্যারিকেড’-এর অভিনয়। আগামী ২৩ শে জানুয়ারি ব্যারিকেডের অভিনয় হওয়ার কথা ছিল নবদ্বীপ রবীন্দ্রভবনে। নবদ্বীপ সায়কের আমন্ত্রণে এই অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল । ব্যারিকেড নাটকে সম্মতি মেলেনি পৌরসভার, দাবি নাট্য সংস্থার। নবদ্বীপ পৌরসভা তার আগেই উদ্যোক্তাদের জানিয়ে দেয়, যে ব্যারিকেড নাটকটি করা যাবে না। এও জানানো হয়, অন্য নাটক হতে পারে কিন্তু ব্যারিকেড করা যাবে না। অথচ, উৎপল দত্তের আরও বেশ কয়েকটি নাটক এই বঙ্গে নিয়মিত অভিনয় হচ্ছে। তাহলে ব্যারিকেড বন্ধ করার কারণ কি রাজনৈতিক না অন্য কিছু? ‘ব্যারিকেড’-এর মতন নাটক বন্ধ করতে রাজি নন উদ্যোক্তারা ।
কিন্তু কী কারণে নাটক বন্ধের নির্দেশ, তা এখনও নবদ্বীপ পৌরসভার তরফ থেকে স্পষ্ট করে বলা হয়নি। চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছিল, কিন্তু কোনওভাবেই তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। এর আগে কল্যাণীর পৌরসভার এক নির্দেশিকা নিয়েও বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। যদিও কল্যাণী পৌরসভা পদ্ধতি মেনে সংবাদমাধ্যমকে এবিষয়ে একটা স্পষ্ট ধারণা দিয়েছিল। কল্যাণী পৌরসভার তরফে জানানো হয়েছিল, ওই হলে ওই একই দিনে সরকারি কোনও অনুষ্ঠান ছিল। তাই ওই নাটক বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু এক্ষেত্রে নবদ্বীপ পৌরসভা নাটক বন্ধের নির্দেশের নেপথ্যে কোনও কারণই দর্শাতে পারেনি।
বিশিষ্ট নাট্যবীদের মতে, “পৌরসভা কোনও কারণ না দেখিয়ে নাটক বন্ধের নির্দেশ দিল। বলে দিল ব্যারিকেড করা যাবে না। আমরা তো সত্যিই অসহায়। এইভাবে যদি একের পর এক ব্যারিকেড অভিনয় বন্ধ করে দেওয়া হয়, আমরা কী করব? আমাদের কী করণীয়? কত বছর আগে উৎপল দত্ত ব্যারিকেড নাটক লিখেছিলেন, কথাগুলো এতটাই প্রাসঙ্গিক এখন। একটা ফ্যাসিস্ট সরকার কীভাবে মানুষের কন্ঠরোধ করে, তা আমরা আজ বুঝতে পারছি।”
এ প্রসঙ্গে নাট্যব্যক্তিত্ব দেবেশ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমাদের মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক উৎপল দত্তের ফেরারি ফৌজ করছেন। নতুন নাটক। উৎপল দত্ত আসলে বিষয় নয়। এটা হতে পারে ব্যারিকেড, এটা হতে পারে দেবেশ চট্টোপাধ্যায়, তাই হয়তো বন্ধের নির্দেশ। সকলের তো মুখ বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।”
নাট্যব্যক্তিত্ব চন্দন সেন বলেন, “একটা ফ্যাসিস্ট রাজনৈতিক দল। যারা কোনওভাবেই বিরোধী মতকে মাথা তুলতে দেবে না। তাই এটা করেছে।”
প্রসঙ্গত, নাটকে সংঘাতের সূত্রপাত হয় ডিএ আন্দোলনের মঞ্চ থেকে। ডিএ আন্দোলনকারী সংগঠন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চে চাকদহের নাট্যজন জগাখিচুরি নাটকটি উপস্থাপন করে। ২৩-২৬ নভেম্বর পর্যন্ত কল্যাণী পৌরসভায় নাটক উপস্থাপনের কথা ছিল চাকদহ নাট্যজনের। কাকতালীয়ভাবে ডিএ মঞ্চে নাটক উপস্থাপনার পরই কল্যাণী পৌরসভার তরফ থেকে ‘বিতর্কিত’ চিঠি পান উদ্যোক্তারা।
তথ্য সহায়তা – সুচরিতা দে