Nadia Body Recovered: মুখটা ঢাকা ছিল চুল দিয়েই, বহুতলের নীচে পাড়ার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে দেখেই চোখ নীচু করলেন পড়শিরা
Nadia Body Recovered: প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, তখন রাত সাড়ে ন'টা বাজে। একটি বহুতলের নীচে ওি কিশোরীকে পড়ে থাকতে দেখেন তাঁরা। মুখ থুবড়ে পড়ে ছিল শরীরটা। খবর চাউর হয় এলাকায়।
নদিয়া: মেয়েটা উপুড় হয়ে পড়েছিল। চুল দিয়ে মুখটা এমনভাবে ঢাকা ছিল, চিনতে পারছিলেন না পড়শিরা। মাথা থেকে রক্ত বের হচ্ছিল। বহুতলের নীচেই পড়েছিল শরীরটা। উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। এক উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর অস্বাভাবিক মত্যু ঘিরে ধোঁয়াশা। মৃতার নাম অনুষ্কা ঘোষ,বয়স ১৮ বছর। ঘটনাটি ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রানাঘাট আট নম্বর ওয়ার্ডের চিলড্রেন’স পার্কের কাছে প্রণবানন্দ আবাসনে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, তখন রাত সাড়ে ন’টা বাজে। একটি বহুতলের নীচে ওই কিশোরীকে পড়ে থাকতে দেখেন তাঁরা। উল্কা গতিতে খবর চাউর হয় এলাকায়। এলাকারই কয়েকজন বাসিন্দা ওই ছাত্রীকে চিনতে পারেন। খবর যায় তার পরিবারে। স্থানীয়রাই দ্রুত তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। এরপর মেয়েটির পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।
ওই কিশোরীর মৃত্যু ঘিরে ধোঁয়াশা দানা বেঁধেছে। প্রশ্ন উঠছে, কীভাবে মৃত্যু? আদৌ কি এটা আত্মহত্যার ঘটনা নাকি খুন? প্রশ্নগুলো ঘোরাফেরা করছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মনেও। একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে তদন্ত শুরু করেছে রানাঘাট থানার পুলিশ। মৃত্যুর পিছনে রয়েছে অন্য কোন রহস্য রয়েছে কিনা, তা নিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলছেন তদন্তকারীরা।
ওই কিশোরী এবারের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। স্থানীয় স্কুলেই পড়ত সে। পড়াশোনা নিয়ে তার মধ্যে কোনও মানসিক অবসাদ তৈরি হয়েছিল কিনা, সেটা দেখছে পুলিশ। যেখান থেকে দেহটা উদ্ধার হয়েছে, সেখানে থেকে বেশ কিছুটা দূরে ওই ছাত্রীর বাড়ি। তাহলে সে কেন সেখানে এসেছিল? সেটাও বিচার্য। সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
প্রাথমিকভাবে পুলিশ মনে করছে, বহুতল থেকে ছাত্রী পড়ে গিয়েছেন। তাকে কেউ ঠেলে ফেলে দিয়েছে নাকি নিজেই ঝাঁপ দিয়েছে, সেটা আগে জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এই বিষয়টি স্পষ্ট হওয়ার পরই নির্দিষ্ট গতিতে তদন্ত এগোতে চায় পুলিশ।
পরিবারের সদস্যদের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “প্রথমে আমরা মেয়েটা চিনতে পারিনি। এলাকারই অনেকে তাকে দেখে চিনতে পারে। হাত- পা ভেঙে গিয়েছিল বলেই মনে হয়। জানি না কীভাবে কী হয়েছে!”