Fraud Case: ‘কোনও টাকা আত্মসাৎ করিনি, বিধায়ক ফাঁসিয়েছেন’, বিস্ফোরক ধৃত প্রবীর কয়াল
MLA Tapas Saha: অভিযুক্ত প্রবীর কয়াল নিজেকে বিধায়কের আপ্ত সহায়ক বলে দাবি করেছিল। বুধবার বিধায়ক তাপস সাহার বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলল ধৃত প্রবীর কয়াল। অভিযুক্তের দাবি, তাকে ফাঁসিয়ে দিয়েছেন বিধায়ক। তিনি কোনও অর্থ আত্মসাৎ করেননি।
নদিয়া : চাকরি দেওয়ার নামে টাকা প্রতারণার অভিযোগে তদন্ত প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। ধৃত প্রবীর কয়ালকে নিয়ে বিধায়ক তাপস সাহার বাড়িতে গিয়েছেন তদন্তকারী অফিসাররা। অভিযুক্ত প্রবীর কয়াল নিজেকে বিধায়কের আপ্ত সহায়ক বলে দাবি করেছিল। এদিকে বুধবার বিধায়ক তাপস সাহার বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলল ধৃত প্রবীর কয়াল। অভিযুক্তের দাবি, তাকে ফাঁসিয়ে দিয়েছেন বিধায়ক। তিনি কোনও অর্থ আত্মসাৎ করেননি। প্রবীর কয়াল বলে, “হাওড়া থেকে নিয়ে এসে বিধায়ক আমাকে ফাঁসিয়েছেন।” বুধবার সন্ধ্যায় এই ভাষাতেই বিধায়কের আপ্ত সহায়ক বলে নিজেকে দাবি করা প্রবীর কয়াল দুষলেন তাপস সাহাকে।
চাকরির নামে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে ধৃত প্রবীর কয়ালকে নিয়ে বুধবার তেহট্টের বয়ারবান্দার বাড়িতে যান দুর্নীতি দমন শাখার আধিকারিকরা। তদন্ত শেষে বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় বিধায়কের বিরুদ্ধে মুখ খুলল প্রবীর কয়াল। বিধায়ক তাকে ফাঁসিয়ে বলেই অভিযোগ তার। উল্লেখ্য, গত ২৮ এপ্রিল দুর্নীতি দমন শাখায় অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। সেখানে জানানো হয়েছিল, সরকারি চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে ওই ব্যক্তির থেকে টাকা নেওয়া হয়েছে। ঘটনায় গত শুক্রবার তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের মধ্যে ছিল প্রবীর কুমার কয়াল, শ্যামল কয়াল ও সুনীল মণ্ডল। এই প্রবীর কয়ালের বিরুদ্ধেই মূল অভিযোগ। সে নিজেকে বিধায়কের আপ্ত সহায়ক বলে দাবি করে।
তাপস সাহা বর্তমানে তেহট্টের বিধায়ক। যে সময়ে এই প্রতারণার কাণ্ড ঘটেছিল বলে অভিযোগ, সেটি ২০১৬ সাল থেকে ২০২১ সালের মধ্যে। ওই সময় তাপস সাহা ছিলেন পলাশিপাড়ার বিধায়ক। অভিযোগ, ওই সময়ে প্রবীর কয়াল সরকারি চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে সাধারণ মানুষদের থেকে টাকা তুলেছিল। অভিযোগ, অনেক ক্ষেত্রেই বিধায়কের নাম করেই চাকরি পাইয়ে দেওয়ার কথা বলত সে। তবে এই প্রবীর কয়াল যে তাঁর আপ্ত সহায়ক ছিল, এমনটা মানতে নারাজ বিধায়ক তাপস সাহা। তাঁর বক্তব্য, “আমার আপ্ত সহায়ক তো কেউ ছিল না, কোনওদিনই ছিল না।” তবে ধৃত প্রবীর কয়ালের সঙ্গে যে তাঁর পরিচিতি ছিল, সে কথা স্বীকার করে নিয়েছেন বিধায়ক। বলেছিলেন, “প্রবীরের সঙ্গে পরিচয় ছিল। ও ছোট ভাইয়ের মতো। আমার তো এরকম হাজার হাজার ভাই আছে।”