Nadia: ‘এলাকায় বাড়ি করলে ৪ লাখ টাকা দিতেই হবে’, ক্লাবের জুলুমবাজির অভিযোগে থানায় ডাক্তার
Nadia: চিকিৎসক সুজন দাস জানান, স্থানীয় একটি ক্লাব তাঁর কাছে ৪ লক্ষ টাকা দাবি করেছে। তিনি সেই টাকা দিতে অস্বীকার করায় তাঁর জমির পাঁচিল ভেঙে দেয়।
নদিয়া: ফুলিয়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসককে টাকা চেয়ে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ। অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ক্লাবের বিরুদ্ধে। চিকিৎসক সুজন দাস জানান, স্থানীয় একটি ক্লাব তাঁর কাছে ৪ লক্ষ টাকা দাবি করেছে। তিনি সেই টাকা দিতে অস্বীকার করায় তাঁর জমির পাঁচিল ভেঙে দেয়। একইসঙ্গে একটি জলের কলও ভেঙে দেয় বলে অভিযোগ। শান্তিপুর থানায় লিখিত জানিয়েছেন চিকিৎসক। শুধু তাই নয়, ন্যায্য বিচারের দাবিতে শুক্রবার রাতভর শান্তিপুর থানায় বসেছিলেন সুজন দাস। যদিও শনিবার বিকেল পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। ওই চিকিৎসক জানান, এডুকেশন লোন নিয়ে পড়াশোনা করে ডাক্তার হওয়ার পর সেই টাকা মেটান। এরপরই ঠিক করেন একটি বাড়ি করবেন। তার জন্য জমিও কেনেন শান্তিপুর শ্যামবাজার এলাকায়। এরপরই গোলমালের সূত্রপাত।
জমির সীমানার পাঁচিল ও সদ্য বসানো গেট ভাঙচুরের পাশাপাশি জমির ভিতরে বসানো টিউবয়েলও উপড়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। শান্তিপুর ফুলিয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক সুজন দাস মাসখানেক আগে এই এলাকায় দেড় কাঠা জায়গা কিনেছিলেন বাড়ি করবেন বলে। প্রথমেই জায়গাটি পাঁচিল দিয়ে ঘিরে নেন। এরপরই গত ১৭ ফেব্রুয়ারি সুজন দাসের কাছে একটি ফোন আসে বলে অভিযোগ।
চিকিৎসক সুজন দাসের অভিযোগ, এত টাকা কোনওভাবেই তাঁর পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয়। এরপরই হামলা চালানোর ঘটনা ঘটেছে। সুজন দাসের কথায়, “শ্যামবাজারের ক্লাব থেকে আমার উপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে, হুমকি দিচ্ছে। যেহেতু আমি শ্যামবাজারের বাইরে থেকে জমি কিনছি ৪ লক্ষ টাকা চেয়েছে। আমি বলি, এখন কোনওভাবেই দিতে পারব না। ফোন রাখার দশ মিনিটের মধ্যেই শ্যামবাজারের এক দাদা আমাকে জানায় তোমার জমির পাঁচিল, গেট ভেঙে দিয়েছে। আমি থানায় লিখিত জানাই।” যদিও স্থানীয় ক্লাবের পক্ষ থেকে সুজন দাসের তোলা অভিযোগ অস্বীকার করা হয়। বরং ক্লাবের তরফে দাবি, চিকিৎসক সুজন দাসই ক্লাবে ঢুকে ভাঙচুর করেছেন।