Nadia: ‘এবার এটাই খেয়ে নেব’, বিষের বোতল হাতে দাঁড়িয়ে চাষিরা
Nadia:কৃষকদের দীর্ঘ প্রায় এক মাস যাবত জল বন্ধ চর ব্রহ্মনগর এলাকায়। ভোল্টেজ না থাকার কারণে পুড়ে যাচ্ছে পাম্পের মোটর। চোখের সামনে জলের অভাবে মাঠের মধ্যেই শুকিয়ে যাচ্ছে ফসল। তারই প্রতিবাদে আজ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে তালা দিয়ে দেন কৃষকরা।
নদিয়া: হাতে বিষ তেলের বোতল। আর তা ধরেই বিক্ষোভ কৃষকদের। অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে কৃষি কাজের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে জল মিলছে না। চাষিদের মুখের অন্ন কেড়ে নিচ্ছে পাওয়ার লুমের মালিকরা। এমনই অভিযোগ নবদ্বীপের চর মাজদীয়া চর ব্রক্ষ্মনগর এলাকার কৃষকদের ।
কৃষকদের দীর্ঘ প্রায় এক মাস যাবত জল বন্ধ চর ব্রহ্মনগর এলাকায়। ভোল্টেজ না থাকার কারণে পুড়ে যাচ্ছে পাম্পের মোটর। চোখের সামনে জলের অভাবে মাঠের মধ্যেই শুকিয়ে যাচ্ছে ফসল। তারই প্রতিবাদে আজ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে তালা দিয়ে দেন কৃষকরা। তাঁদের অভিযোগ, ট্রান্সফরমার শুধু মাত্র চাষিদের ডিপ্টিকলের মোটরের চালানোর জন্য। সেই মত ক্ষমতা সম্পন্ন ট্রান্সফরমার লাগিয়েছিল বিদ্যুৎ দফতর। তবে ট্রান্সফরমার থেকেই এখন লাইন নিয়ে চালানো হচ্ছে প্রায় ১০০ উপর পাওয়ারলুমের মেশিন। যার ফলে ভোল্টেজ কম থাকায় বারবার ওই ডিপ্টিকলের পাম্পের মোটর পুড়ে যাচ্ছে । এর আগেও তিনবার মোটর পুড়ে যাওয়ায় ফসলে জল না দিতে পেরে ফসল নষ্ট হয়েছে ।
আবার প্রায় এক মাস যাবত এই মোটর পুড়ে যাওয়ায় বন্ধ রয়েছে চাষের জমিতে জলপরিষেবা। ফলে জমিতে ফসল নষ্ট হচ্ছে । এই সময় একাধিক চাষীর জমিতে রয়েছে ধান অন্যান্য সবজি চাষ। ধান চাষের ক্ষেত্রে পথ পর্যাপ্ত পরিমাণে জল না দেওয়া হলে ধানের ফলন হবে না। ধান চাষে অত্যাধিক খরচ সেই খরচ করেও জলের অভাবে ধান চাষও নষ্ট হচ্ছে।
কৃষকরা জানান, যদি এই সমস্যার সমাধান স্থায়ীভাবে না করা হয় তবে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করবেন । ওই এলাকার তৃণমুল পঞ্চায়েতের উপপ্রধানের স্বামী এই বিষয় নিয়ে তিনি বলেন, “চাষিদের এই সমস্যার সমাধান করে নতুন আর একটি ট্রান্সফরমার বসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।”