Nadia: বাড়িতে আসত ‘প্রেমিক’, ঘনিষ্ঠও হয়েছে বহুবার! বিয়ের কথা বলতেই…
Ranaghat: অভিযোগকারী যুবতীর দাবি, অভিযুক্ত যুবক তাঁর বাড়িতে নিয়মিত আসতেন। এমনকী তাঁকেও নিজের বাড়ি নিয়ে যেতেন। বিয়ে করবেন বলে কথাও দিয়েছিলেন।
নদিয়া: বিয়ের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিন বছর ধরে সহবাসের অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, বিয়ের কথা বলতেই ওই যুবতীকে মারধর করে ওই যুবক। এমনকী তাঁর পরিবারের লোকজনও দুর্ব্যবহার করে বলে অভিযোগ। পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েও কাজ না হওয়ায় এবার আদালতের দ্বারস্থ হলেন ওই যুবতী। নদিয়ার রানাঘাট থানা এলাকার ঘটনা। রানাঘাট থানা এলাকার ওই যুবতীর বছর ১২ আগে বিয়ে হয়েছিল। বিয়ের দু’ বছর পর তাঁর একটি মেয়ে হয়। এরপর স্বামী আর কোনও দায়িত্ব নেয়নি বলে অভিযোগ। সাত বছর হল স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগও নেই তাঁর। তিন বছর আগে স্থানীয় এক যুবকের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয়। সেই সম্পর্ক থেকেই বিয়ের প্রতিশ্রুতি বলে অভিযোগ।
অভিযোগকারী যুবতীর দাবি, অভিযুক্ত যুবক তাঁর বাড়িতে নিয়মিত আসতেন। এমনকী তাঁকেও নিজের বাড়ি নিয়ে যেতেন। বিয়ে করবেন বলে কথাও দিয়েছিলেন। কিন্তু এখন বেঁকে বসেছেন তিনি। বিয়ের কথা বলায় যুবতীকে মারধরও করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এমনকী যুবকের বাড়ির লোকজনও ওই যুবতীর গায়ে হাত তোলে বলে পুলিশকে জানিয়েছেন তিনি। তবে রানাঘাট থানায় জানিয়েও কাজ হয়নি। তাই রানাঘাট মহকুমা আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। অভিযোগকারী বলেন, “আমি গ্রামের প্রধানকেও বলেছিলাম। কিন্তু উনি বলেন, যখন তোমাদের মিল নেই বিয়ে না করাই ভাল।”
অভিযোগকারীর মায়ের কথায়, “আমার মেয়ের আগে একবার বিয়ে দিই। নাতনিও আছে আমার। সাত বছর হয়ে গেল জামাইয়ের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই। খরচপাতি দেয় না কিছু। মেয়েকে আমার কাছেই রেখে দিয়েছি তাই। এলাকারই একটা ছেলে ওকে ভালবাসে। আমাদের বাড়িতে যাওয়া আসাও করত ছেলেটা। ওর বাড়ির লোকও জানত। আমাদের বাড়ি থেকে খাবার পাঠানো হত। ছেলেটা আমার স্বামীকে বারবার বলত, মেয়েকে বিয়ে করবে। এরপরই মেয়ে এসে বলছে ওই ছেলে ওকে রাস্তায় ফেলে মারধর করেছে। বিয়ের কথা বলায় মেরেছে। এ কথা শুনে আমি মেয়েকে নিয়ে ওর বাড়ি যাই। এরপরই নানারকম ভয় দেখাচ্ছে।”
এ প্রসঙ্গে অভিযুক্ত যুবকের বাবার বক্তব্য, “ছেলে আমাকে বলেছে ওরা স্কুলে একসঙ্গে পড়াশোনা করত। সেই সূত্রে চেনা। আমাকে মেয়ের পরিবারের তরফে কোনওদিনই এই সম্পর্ক নিয়ে কিছু বলা হয়নি। মেয়ের বাবার সঙ্গে প্রায়ই দেখা হয় আমার। আমার ছোটবেলার বন্ধু। ছেলেও বলেনি কোনওদিন বাড়িতে এইরকম কিছু ঘটছে। আমরা মারধর করেছি এর কোনও প্রমাণ ওরা দিতে পারবে? আসলে সবটাই মিথ্যা কথা বলছে। এর মধ্যে একদিন এসে বলছে, আমার ছেলেকে ফোন করতে। পরে আমার ছেলে এল। ছেলে ওকে বলেছে, সম্পর্ক যে আছে তার কোনও প্রমাণ দেখাতে পারবে? মেয়েটা কিন্তু কোনও প্রমাণ দেখাতে পারেনি। ছেলের সঙ্গে একসঙ্গে পড়ত এটুকুই।” আদালত কী সিদ্ধান্ত নেয় এখন সেদিকেই তাকিয়ে ওই যুবতী।