Child Death Update: জাতীয় সড়কে পথ অবরোধের জেরে অ্যাম্বুলেন্সেই মৃত্যু শিশুর, গ্রেফতার ৭ আন্দোলনকারী!

Nadia: ইতিমধ্যেই আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে মৃত শিশুটির পরিবার।

Child Death Update: জাতীয় সড়কে পথ অবরোধের জেরে অ্যাম্বুলেন্সেই মৃত্যু শিশুর, গ্রেফতার ৭ আন্দোলনকারী!
অ্যাম্বুলেন্সে শিশুমৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতার ৭
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 10, 2021 | 5:10 PM

নদিয়া: জাতীয় সড়কে অবরোধের জেরে শিশুমৃত্যুর ঘটনায় পুলিশি হস্তক্ষেপ। মর্মান্তিক এই ঘটনার কথা খবরে সম্প্রচার হতেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। পুলিশ কোতোয়ালি থানায় নিয়ে যায় অ্যাম্বুলেন্সটিকে। ইতিমধ্যেই আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে মৃত শিশুটির পরিবার। শেষ পাওয়া খবর অবধি মোট সাতজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

প্রসঙ্গত, জগদ্ধাত্রী পুজো সাঙের আয়োজন করতে  দিতেই হবে। আর এই দাবি নিয়ে মঙ্গলবার বিকেল থেকে নদিয়ার ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে চলল অবরোধ। সেই অবরোধে আটকে গেল একটি অ্য়াম্বুলেন্স। এক সাত বছরের অসুস্থ শিশুকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল কলকাতার এসএসকেএম হাসপাাতালে। কিন্তু, শেষ রক্ষা হল না। অবরোধের জেরে অ্যাম্বুলেন্স আটকে যেতেই হাসপাতালে পৌঁছনোর আগেই মৃত্য়ু হল শিশুর। অভিযোগ, ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত থেকেও কোনও পদক্ষেপ করেনি।

জগদ্ধাত্রী পুজোয় সাঙের অনুমতি নিয়ে কৃষ্ণনগরের বেশ কিছুদিন ধরেই সমস্য়া চলছিল। যা নিয়ে কৃষ্ণনগরের বাসিন্দাদের একাংশ ক্ষোভ প্রকাশ করে। সেই ক্ষোভের পরিণতিতে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে চলে বিক্ষোভ। বিক্ষোভের জেরে কার্যত সন্ধে থেকে অচল হয়ে পড়ে ওই রাস্তা। পথের মাঝেই টায়ার জ্বেলে, পোস্টার-প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। অবরোধের জেরে কলকাতা এবং উত্তরবঙ্গ গামীপুর বহু ট্রাক-বাস বাস আটকে পড়ে।

এই অবরোধের জেরেই কার্যত  বিপত্তি দেখা দেয়। আটকে যায় একটি অ্য়াম্বুলেন্স। কিন্তু, অ্য়াম্বুলেন্সের সাইরেন শুনেও মন গলেনি বিক্ষোভকারীদের। ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তাতেই দাঁড়িয়ে থাকে আপত্‍কালীন গাড়ি। গাড়ির ভেতর তখন রীতিমতো কাতরাচ্ছে বছর সাতেকের এক বালক। নাকে পরানো রয়েছে অক্সিজেনের নল। কিন্তু তাতে কী! তার তখন দরকার জরুরি চিকিত্‍সা।

অ্যাম্বুলেন্স থেকে নেমে বিক্ষোভকারীদের জমায়েতের দিকে এগিয়ে গেলেন শিশুর এক পরিজন। অনেক কাকুতি মিনতি করলেন। লাভ হল না। ।ফিরে আসতে হল গাড়িতেই। এদিকে, তখন হু হু করে কেঁদে চলেছেন ওই দুধের শিশুর মা। ছেলেটাকে একটু হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। সে যে করেই হোক। কিন্তু কোথায় কী! কে শুনবে কার কথা! দাঁড়িয়ে থাকল পুলিশ, চলল বিক্ষোভ।

ওই অসুস্থ শিশুর যখন মরো মরো অবস্থা তখন শেষ মুহূর্তে এসে পৌঁছলেন কৃষ্ণনগরের পুলিশ। দ্রুত ট্রাক বাস চালানোর ব্যবস্থা করতেই উঠে যায় অবরোধ। কিন্তু, তখন আর বেঁচে নেই ওই শিশু। অ্যাম্বুলেন্সেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছে সে।  জানা গিয়েছে, মালদা থেকে তাকে চিকিত্‍সার জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে।

ঘটনাকে কেন্দ্র করে উঠছে একাধিক প্রশ্ন। কেন অ্যাম্বুলেন্স দেখেও ছাড়পত্র মিলল না? কেনই বা  পুলিশ এল না যথাসময়ে। তাহলে কি পরিস্থিতি সামলাতে ব্যর্থ প্রশাসন? প্রশ্ন একাধিক। তবে সদুত্তর নেই।

আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: এবার আমিও ছটপুজোর ব্রত করেছি, শুধু চা খেয়ে আছি: মমতা