Bus Accident: আসলেই যেন বিক্রমাদিত্য! নদিয়ায় মৃত্যুমুখ থেকে বাসযাত্রীদের ফিরিয়ে আনল ক্লাস ইলেভেনের ছেলেটা

Bus Accident: বাসে প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ জন যাত্রী ছিলেন বলে জানা যাচ্ছে। কোনও মৃত্যুর খবর না এলেও বেশ কয়েকজন যাত্রী গুরুতরভাবে জখম হন। মারাত্মক আঘাত পেয়েছেন বাসের চালক। এদিকে যখন দুর্ঘটনাটি ঘটে তখন ওই রাস্তায় দিয়েই যাচ্ছিল যুগপুর চক হাতিশালা স্কুলের একাদশ শ্রেণির ছাত্র বিক্রমাদিত্য ব্রহ্মচারী।

Bus Accident: আসলেই যেন বিক্রমাদিত্য! নদিয়ায় মৃত্যুমুখ থেকে বাসযাত্রীদের ফিরিয়ে আনল ক্লাস ইলেভেনের ছেলেটা
বামদিকে আহত বাস চালক, ডানদিকে ক্লাস ইলেভেনের ছাত্র Image Credit source: TV-9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 04, 2024 | 8:45 PM

নদিয়া: জাতীয় সড়কে ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনা। রক্তে ভাসল রাস্তা। ছুটে এল স্কুলের পড়ুয়া। সেই আহতদের উদ্ধার করে নিয়ে গেল হাসপাতালে। ছোট্ট এই পড়ুয়ারা যেভাবে বিপদের সময় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে তাতে কুর্নিশ জানাচ্ছেন সকলেই। এদিন নদিয়ার নাকাশিপাড়া থানা এলাকায় ১২ জাতীয় সড়কের উপর যুগপুরে কালীতলায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে একটি ভ্যান। কীটনাশন ও রায়সনিক সার নিয়ে ভ্যানটি যখন যাচ্ছিল তখন আচমকাই তাঁর একটি চাকা খুলে যায় বলে জানাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এদিকে সেই সময় আবার বেথুয়াডহরির দিকে আসছিল একটি যাত্রী বোঝাই বাস। ঠিক সেই সময়েই ভ্যানটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটির সামনে চলে আসে।  

বাসে প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ জন যাত্রী ছিলেন বলে জানা যাচ্ছে। কোনও মৃত্যুর খবর না এলেও বেশ কয়েকজন যাত্রী গুরুতরভাবে জখম হন। মারাত্মক আঘাত পেয়েছেন বাসের চালক। এদিকে যখন দুর্ঘটনাটি ঘটে তখন ওই রাস্তায় দিয়েই যাচ্ছিল  যুগপুর চক হাতিশালা স্কুলের একাদশ শ্রেণির ছাত্র বিক্রমাদিত্য ব্রহ্মচারী। তার চোখের সামনে বেশ কিছু মানুষকে যন্ত্রণায় ছটফট করতে দেখে সঙ্গে সঙ্গেই তাঁদের কাছে ছুটে যায়। স্থানীয় একজনকে ডেকে দ্রুত তাঁদের হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করে। নিয়ে যাওয়া হয় বেথুয়াডহরি গ্রামীণ হাসপাতালে। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ও হাসপাতালে যায় নাকাশিপাড়া থানার পুলিশ। 

আহত এক যাত্রী বলছেন, “পিক আপ ভ্যানটা সার নিয়ে যাচ্ছিল। রাস্তাতেই চাকা খুলে যেতেই বাসের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। বাসের অনেক যাত্রী আহত হয়েছে। প্রায় প্রত্যেকের আঘাত লেগেছে। আমি চালকের পাশেই ছিল। আমারও খুব লেগেছে।” বিক্রমাদিত্য বলছে, “আমি ফিরছিলাম। তখন রাস্তায় দেখি বাসটা দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। দেখা মাত্রই আমি আর এক দাদা ওদের দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসি।” এদিকে বিক্রমাদিত্যের কাজে খুশি তাঁর এলাকার লোকজন থেকে স্কুলের শিক্ষকেরা। সকলেই জানাচ্ছেন সাধুবাদ।