Lighting: আচমকাই কালো মেঘে ঢাকল আকাশ, বজ্রাঘাতে দুই জেলায় চারজনের মৃত্যু
Birbhum: এদিন সেই বাজই প্রাণ কাড়ল চারজনের। বীরভূমের লাভপুরের দাঁড়কা গ্রামের মীরবাঁধ মাঠে এদিন ক্ষেতের কাজ করতে গিয়েছিলেন ছ'জন কৃষক।
বীরভূম ও নদিয়া: বাজ পড়ে একদিনে দুই জেলার চারজনের মৃত্যু হল। বৃহস্পতিবার বাজ পড়ে মৃত্যু হয়েছে বীরভূমের লাভপুরের দু’জনের। অন্যদিকে নদিয়ার করিমপুরেও দু’জন বজ্রাঘাতে মারা যান। গত কয়েকদিনে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাতও হচ্ছে। এদিন সেই বাজই প্রাণ কাড়ল চারজনের। বীরভূমের লাভপুরের দাঁড়কা গ্রামের মীরবাঁধ মাঠে এদিন ক্ষেতের কাজ করতে গিয়েছিলেন ছ’জন কৃষক। বেলা ১টা নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই ছ’জন মাঠের কাজে করেছিলেন। হঠাৎই ভীষণ জোরে বাজ পড়ে। মুহূর্তে চোখমুখ অন্ধকার হয়ে মাটিতে পড়ে যান ওই কৃষকরা। মাঠেই দু’জনের মৃত্যু হয় বলে জানা গিয়েছে। তিনজন গুরুতর আহত হন। তবে একজন ওই পাঁচজনের থেকে কিছুটা দূরে থাকায় বরাত জোরে রক্ষা পান। নিহতদের নাম বাবুল দাস ও প্রকাশ দাস। আহতদের নাম সহদেব দাস, শ্রীকান্ত দাস ও সঞ্জয় দাস। আহতরা লাভপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
অন্যদিকে নদিয়ার করিমপুর থানা এলাকায় বাজ পড়ে মারা যান দু’জন। একজন পেশায় কৃষক, অন্যজন জনমজুরি করেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে কাঠালিয়া মাঠে জমির কাজ করতে গিয়েছিলেন দুঃশাসন অধিকারী (৪২)। চাষের জমিতে পাট জাক দেওয়ার কাজ করছিলেন তিনি। সেই সময় হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হয়, সঙ্গে মেঘের গর্জন। মাঠে কাজ করতে গিয়ে বেশ কয়েকজন আহন হন। দুঃশাসনকে করিমপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। অন্যদিকে গোয়াস দক্ষিণপাড়ার মিনারুল শেখ (২৫) গরুর খাবার নিয়ে বাড়ি ফেরার সময় বজ্রাঘাতে নিহত হন। করিমপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। চলতি বর্ষার মরসুমে একাধিক জেলা থেকে বাজ পড়ে মৃত্যুর খবর এসেছে। শুধু দক্ষিণবঙ্গই নয়, উত্তরবঙ্গেও একই ছবি। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই মাঠে কাজ করতে গিয়ে মারা যাচ্ছেন কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্তরা।