Nadia: ‘ওরা আমার মেয়েটাকেই…’, গৃহবধূকে ভয়ঙ্কর অবস্থায় দেখে শিউরে উঠলেন মা

Nadia: নদিয়ার শান্তিপুর থানার গো-ভাগাড় এলাকার ঘটনা। সেখানে এক গৃহবধূর দেহ উদ্ধারকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মৃত গৃহবধূর নাম সোনালি দাস।

Nadia: 'ওরা আমার মেয়েটাকেই...', গৃহবধূকে ভয়ঙ্কর অবস্থায় দেখে শিউরে উঠলেন মা
সোনালী দাস (নিজস্ব ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 11, 2022 | 4:04 PM

নদিয়া: তিন বছর আগে বিয়ে হয়েছিল। তবে সংসারে শান্তি ছিল না। পণের জন্য লাগাতার চাপ দিতে থাকে শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা। পাশে দাঁড়ায়নি স্বামী। অভিযোগ তেমনই। এরপর ঘরের মধ্যে গৃহবধূর ভয়ঙ্কর অবস্থার খবর পেলেন বাপের বাড়ির সদস্যরা।

নদিয়ার শান্তিপুর থানার গো-ভাগাড় এলাকার ঘটনা। সেখানে এক গৃহবধূর দেহ উদ্ধারকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মৃত গৃহবধূর নাম সোনালি দাস। বয়স আনুমানিক ২১ বছর। জানা গিয়েছে, গৃহবধূর বাবার বাড়ি কলকাতার বিধাননগরে। সোনালির বাবার বাড়ির বক্তব্য, গত তিন বছর আগে শান্তিপুর গো-ভাগাড় এলাকার যুবক সৌভিক দাসের সঙ্গে বিয়ে হয় ওই গৃহবধূর। বিয়ে হওয়ার পর থেকেই শ্বশুর বাড়ির সদস্যরা মহিলার উপর মানসিক এবং শারীরিক অত্যাচার করত। শুধু তাই নয়, গৃহবধূর স্বামী সৌভিক দাস মাঝে মধ্যেই পণের দাবিতে চাপ সৃষ্টি করত ওই গৃহবধূর উপরে।

বিষয়টি যুবতি তাঁর পরিবারকে জানালে বেশ কয়েকবার টাকা পয়সাও দেওয়া হয় সৌভিক দাসকে। তারপরও ওই  পরিস্থিতি বদলায়নি। যুবতির উপরে মানসিক এবং শারীরিক নির্যাতন করত তাঁর স্বামী, এমনই অভিযোগ। এরপর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হঠাৎই ওই গৃহবধূকে তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন শান্তিপুর হাসপাতলে নিয়ে যায়। বেশ খানিকটা সময় প্রাথমিক চিকিৎসা চলার পরে ওই গৃহবধূকে মৃত বলে জানায় চিকিৎসকেরা।

মৃত্যুর খবর সোনালির শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁর বাবার বাড়ির সদস্যদের না দিলেও অন্য মাধ্যমে খবর পান তাঁর। খবর পাওয়া মাত্রই শান্তিপুর হাসপাতালে এসে পৌঁছয় ওই গৃহবধূর পরিবার। পরিবারের অভিযোগ, তাঁদের বাড়ির মেয়েকে মেরে ফেলা হয়েছে। গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর পরেই গৃহবধূর পরিবার সোনালির শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে শান্তিপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগের ভিত্তিতে দু’জনকে গ্রেফতার করে শান্তিপুর থানার পুলিশ। এছাড়াও ওই গৃহবধূর কীভাবে মৃত্যু ঘটল তার তদন্ত শুরু করেছে শান্তিপুর থানার পুলিশ। পাশাপাশি শনিবার ওই গৃহবধূর মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায় শান্তিপুর থানার পুলিশ। ময়নাতদন্তের পরই ওই গৃহবধূর কী কারণে মৃত্যু হয়েছে তা স্পষ্ট জানা যাবে।

এই বিষয়ে মৃতার মা বলেন, ‘ওদের সব সময় অশান্তি হত। সব সময় ওরা বলত তোমার মাকে বলো টাকা দাও, তোমার মাকে বলো ওই দাও। আমার জামাই বলত। বারবার চাপ দিত। আমার মেয়েটাকে ওরা শেষ করে দিল। মৃত্যুর খবরটুকু পাইনি। পরে প্রতিবেশী কেউ আমার শাশুড়িকে জানায়। তখনই জানতে পারি।’