Basirhat: মেয়েকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে, বাবার বয়ানের পরই কবর থেকে তোলা হল নাবালিকার দেহ

North 24 Parganas: নাবালিকার মা-বাবাকে না জানিয়েই পুলিশ দেহটি বসিরহাট জেলা হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়ে দেয় বলে অভিযোগ।

Basirhat: মেয়েকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে, বাবার বয়ানের পরই কবর থেকে তোলা হল নাবালিকার দেহ
কবর থেকে মৃতদেহ তুলে দ্বিতীয় বার ময়না তদন্তে পাঠানোর নির্দেশ দিল প্রশাসন। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 09, 2021 | 10:03 AM

উত্তর ২৪ পরগনা: বাবার অভিযোগ, মেয়েকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। এই অভিযোগের ভিত্তিতেই কবর থেকে মৃতদেহ তুলে দ্বিতীয় বার ময়না তদন্তে পাঠানোর নির্দেশ দিল প্রশাসন। বসিরহাট মহকুমার মাটিয়া থানা এলাকার ঘটনা। আদালতের নির্দেশে ২০ দিন পর দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের জন্য নাবালিকার মৃতদেহ কবর থেকে তোলা হল শনিবার।

ঘটনাটি ঘটে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসের ১৯ তারিখ। পনেরো বছরের এক নাবালিকার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় তাঁর ঘর থেকে। অষ্টম শ্রেণিতে পড়ত সে। এদিকে মা বাবা কাজের সূত্রে ব্যারাকপুরে থাকতেন। মেয়েটি থাকত বাড়িতে। অভিযোগ, স্থানীয়রাই ওই নাবালিকাকে ঘরের ভিতর ঝুলতে দেখেন। তাঁরাই চিৎকার চেঁচামেচি করে লোক জোগাড় করেন। খবর দেওয়া হয় স্থানীয় থানাতেও।

অভিযোগ, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে মাটিয়া থানার পুলিশ গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। এমনকী ওই নাবালিকার মা-বাবাকে না জানিয়েই পুলিশ দেহটি বসিরহাট জেলা হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। পরে খবর পেয়ে মা ও বাবা এলে তাঁদের মেয়ের দেহ তুলে দেওয়া হয় পুলিশের তরফে। এরপর মৃতদেহটি গ্রামেই কবর দেয় পরিবার।

এদিকে এরপরই পরিবারের তরফে দাবি তোলা হয়, এই মৃত্যু কোনও আত্মহত্যা নয়। ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। মেরে ওই ছাত্রীকে ঝুলিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ তোলেন তার বাবা। মেয়ের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ সামনে আনতে বসিরহাট মহকুমা হাসপাতালেরও দ্বারস্থ হন কন্যাহারা পিতা।

এরপরই ম্যাজিস্ট্রেট প্রিয়ব্রত দত্তের নির্দেশে শনিবার সকালে বসিরহাট দু’নম্বর ব্লকের বিডিও জয়দীপ চক্রবর্তী উপস্থিতিতে বসিরহাট জেলা হাসপাতালের চিকিৎসক সুকদেব বিশ্বাস ও মাটিয়া থানার পুলিশ আধিকারিকের সামনে কবর থেকে নাবালিকার মৃতদেহ তোলা হয়। দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের জন্য বসিরহাট জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে দেহটি। নাবালিকার মৃত্যুর ঘটনায় ইতিমধ্যেই সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে মাটিয়া থানায়। যদিও এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

আরও পড়ুন: Covid19: তৃতীয়াতেই জনজোয়ার, সংক্রমণও বাড়ছে! পর পর তিন দিন রাজ্যে সংক্রমণ সাড়ে ৭০০ পার!