বিজেপির সাংগাঠনিক বৈঠকে অনুপস্থিত ৩ বিধায়ক, টিপ্পনী তৃণমূলের
BJP: বিজেপি (BJP)-র বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার বৈঠকে অনুপস্থিত বাগদা, বনগাঁ উত্তর এবং গাইঘাটার বিধায়ক।
উত্তর ২৪ পরগনা: বিজেপি (BJP)-র বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার বৈঠকে অনুপস্থিত বাগদা, বনগাঁ উত্তর এবং গাইঘাটার বিধায়ক। যা নিয়ে বিজেপির অন্দরে বাড়ছে জল্পনা। টিপ্পনী করতে ছাড়লেন না তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব।
রবিবার বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার কার্যকারীনী বৈঠক ছিল। বনগাঁ শহরে অবস্থিত জেলা পার্টি অফিসে বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা ছিল রাজ্য নেতৃত্বের। কিন্তু বিজেপির বৈঠকে তিন বিধায়কের অনুপস্থিতি ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক জল্পনা।
সম্প্রতি রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের বৈঠকেও অনুপস্থিত ছিলেন বাগদার বিজেপি বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস, বনগাঁ উত্তর বিধানসভার বিজেপি প্রার্থী অশোক কীর্তনীয়া ও গাইঘাটার বিজেপি বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর।
রবিবাসরীয় বৈঠকেও অনুপস্থিত এই তিন বিধায়ক। রবিবারের কার্যকারীনী বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অভিজিৎ দাস। উনি নবদ্বীপ জোনের বিজেপি পর্যবেক্ষক। ছিলেন বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা বিজেপির পর্যবেক্ষক প্রসেনজিৎ ভৌমিক।
এই তিন বিধায়কের অনুপস্থিতি নিয়ে অভিজিৎ দাস অবশ্য বলেন, তাঁদের ব্যক্তিগত ও শারীরিক কারণে বৈঠকে আসেনি। বিষয়টিকে জটিলভাবে না দেখাই ভাল। বিজেপির অন্দরে কোন গোষ্ঠীকোন্দল নেই বলেও দাবি করেন তিনি। এ বিষয়ে বনগাঁ উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়া জানান, তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ সেই কারণে তিনি বৈঠকে উপস্থিত হতে পারেননি।
যদিও তৃণমূল নেতা গোপাল শেঠের দাবি, এটা বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দলের ফসল। উল্লেখ্য, মুকুল রায়ের ঘরওয়াপসির পর উত্তর ২৪ পরগনা সহ জেলায় জেলায় বিজেপিতে ভাঙন শুরু হয়েছে। এর মধ্যে আবার তাঁদের তৃণমূলে ফেরানো নিয়েও শুরু হয়েছে বিদ্রোহ।
জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ রতন ঘোষ বিজেপি ছাড়ার কথা ঘোষণা করার পর তাঁর বিরুদ্ধে পড়েছিল পোস্টার। বাগদার বিজেপি বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসের বিরুদ্ধেও পোস্টার দেখা গিয়েছে। এদিকে তিন বিধায়কের অনুপস্থিতি ঘিরে জেলা বিজেপির অন্দরে চাপানউতোর শুরু হয়েছে। আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকায় গৃহনির্মাণ তৃণমূল নেতার! প্রতিবাদ দলের সতীর্থদের