Moral Policing in Dumdum: ‘ফুটপাতে নেশা করছেন মহিলারা’, নাগেরবাজারে নীতি পুলিশের রোষের মুখে চা-বিক্রেতা
Nager Bazar: রুবিনা বণিক পাল নামে ওই চা বিক্রেতা বলেন, "আমার জন্য নাকি সমাজে বাজে বার্তা যাচ্ছে।"
দমদম: ফের নীতি পুলিশির (Moral Policing) অভিযোগ। এবার দমদমের নাগেরবাজার (Nager Bazar) এলাকায়। আর তার জেরেই নাগেরবাজার এলাকায় এক চায়ের দোকানে ভাঙচুরের অভিযোগ। এমনকী ওই দোকানের বিক্রেতার উপর হামলা চালানো হয় বলেও অভিযোগ। এলাকাবাসীদের একাংশের অভিযোগ, ওই দোকানে চা খেতে এসে নেশাজাত দ্রব্য সেবন করা হয়। গান গাওয়া, মহিলাদের ধূমপান, যুবক-যুবতীদের অশালীনভাবে বসে থাকা হয় বলেও অভিযোগ এলাকাবাসীদের। শুধু তাই নয়, অনেক বেশি রাত পর্যন্ত চায়ের দোকান খোলা থাকে বলেও অভিযোগ। সেই ঘটনার প্রতিবাদ করেই গতরাতে ওই চায়ের দোকানে এক স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ চড়াও হয় বলে অভিযোগ চা বিক্রেতার। বিষয়টি নিয়ে আহত ওই চা বিক্রেতা নাগেরবাজার কামারডাঙা পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ দায়ের করেন।
সংবাদ মাধ্যমের সামনে ক্ষোভ উগরে দিয়ে রুবিনা বণিক পাল নামে ওই চা বিক্রেতা বলেন, “আমার জন্য নাকি সমাজে বাজে বার্তা যাচ্ছে। আমার চা-সিগারেটের দোকান, আমি তা বিক্রি করি। কোনও মেয়ে যদি সিগারেট খায়, আমার কী করার আছে? কোনও গার্লফ্রেন্ড বয়ফ্রেন্ডকে চা খাইয়ে দিচ্ছে, তাতে আমার সমস্যা কোথায়? তাতে নাকি তাঁদের পরিবেশ দূষণ হচ্ছে। গার্লফ্রেন্ড বয়ফ্রেন্ডকে চা খাইয়ে দিলে কীভাবে পরিবেশ দূষণ হয়?” ওই চা বিক্রেতাকে সেখানে আর দোকান খুলতে দেওয়া হবে না বলেও অভিযোগ।
যদিও ওই ঘটনায় যাঁদের দিকে অভিযোগ, সেই স্থানীয় বাসিন্দারা কোনওরকম নীতি পুলিশি বা মারধরের ঘটনার কথা অস্বীকার করেছেন। এলাকাবাসীদের পাল্টা বক্তব্য, ফুটপাতে বসে মেয়েরা নেশাদ্রব্য সেবন করছিল। তাদের কাছে এলাকার বয়স্করা অভিযোগ করেছিলেন বিষয়টি নিয়ে। সেই কথা তাঁরা চায়ের দোকানের মালিককে গিয়ে বলেন। জানান, এখানে বসে নেশাদ্রব্য সেবন করা যাবে না। এরপরেই চায়ের দোকানের মালিক বেশ কয়েকজনকে ডেকে নিয়ে আসে বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। তবে গতরাতে কোনও মারধরের ঘটনা ঘটেনি বলেই দাবি তাঁদের।
বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বিষয়টি তাঁর কানেও এসেছে। স্থানীয় বাসিন্দারাই তাঁকে এই বিষয়টি জানিয়েছেন। তিনি এলাকাবাসীদের একটি মাস পিটিশন করে থানায় অভিযোগ জানাতে বলেছেন। তবে গতরাতের ঘটনার সময় তিনি ঘটনাস্থলে ছিলেন না। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে তিনি শুনেছেন, সেখানে বসে একদল যুবক যুবতী নেশাদ্রব্য সেবন করে। এর আগেও চায়ের দোকানের মালিককে তা বন্ধ করতে বলা হয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসন প্রশাসনের মতো ব্যবস্থা নেবে বলেও জানান তিনি।