Assault Rifle: মিনিটে ৬০০ রাউন্ড ফায়ার, শত্রু মোকাবিলায় অত্যাধুনিক অ্যাসল্ট রাইফেল পেল CISF, BSF

Defence: ইছাপুর রাইফেল ফ্যাক্টরির কর্তারা জানিয়েছেন, তামিলনাড়ুর ত্রিচি অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরিতে এই অ্যাসল্ট রাইফেলের ডিজাইন করা হয়েছে। আর তা তৈরি হয়েছে বাংলাতে।

Assault Rifle: মিনিটে ৬০০ রাউন্ড ফায়ার, শত্রু মোকাবিলায় অত্যাধুনিক অ্যাসল্ট রাইফেল পেল CISF, BSF
ত্রিচি অ্যাসল্ট রাইফেল।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 13, 2023 | 4:13 PM

উত্তর ২৪ পরগনা: দেশের সীমান্ত এবং অভ্যন্তরীণ সুরক্ষায় কেন্দ্রীয় আধাসামরিক বাহিনীর হাতে এল অ্যাসল্ট রাইফেল (Assault Rifle)। সীমান্তের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ও নিরাপত্তার স্বার্থে অত্যাধুনিক অস্ত্রসস্ত্রের সম্ভার আলাদা গুরুত্ব পেয়েছে দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রকের কাছে। তারই অঙ্গ হিসাবে এবার অত্যাধুনিক অ্যাসল্ট রাইফেল তৈরি করল ইছাপুর রাইফেল ফ্যাক্টরি। সেই রাইফেল তুলে দেওয়া হল সিআইএসএফ এবং বিএসএফের হাতে। বর্তমানে বিএসএফ এবং সিআইএসএফের হাতে যে ধরনের অ্যাসল্ট রাইফেল রয়েছে, সেই তুলনায় নতুন এই অ্যাসল্ট রাইফেল অনেক বেশি হালকা এবং লক্ষ্যভেদে সক্ষম। একই সঙ্গে পরীক্ষার পর দেখা গিয়েছে, অন্যান্য রাইফেলের তুলনায় AK সিরিজের নতুন এই রাইফেল অনেক বেশি কার্যকরী ভূমিকা পালন করছে। শুক্রবার ইছাপুর রাইফেল ফ্যাক্টরিতে সিআইএসএফের আইজি সুধীর কুমার উপস্থিত ছিলেন। ইছাপুর রাইফেল ফ্যাক্টরির কর্তারা জানিয়েছেন, তামিলনাড়ুর ত্রিচি অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরিতে এই অ্যাসল্ট রাইফেলের ডিজাইন করা হয়েছে। আর তা তৈরি হয়েছে বাংলাতে।

উত্তর ২৪ পরগনার ইছাপুর রাইফেল ফ্যাক্টরিতে তৈরি করা হয়েছে তা। ৭.৬২ x ৩৯ এমএম কার্তুজবাহী এই রাইফেলের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ত্রিচি অ্যাসল্ট রাইফেল’। এখনও পর্যন্ত সিআইএসএফের তরফে মোট ১০ হাজার রাইফেল তৈরির বরাত দেওয়া হয়েছিল। ৬ হাজার তৈরি করে সিআইএসএফ জওয়ানদের হাতে তুলে দেওয়া হল। অন্যদিকে ১২ হাজার রাইফেলের বরাত দিয়েছে বিএসএফ। তার প্রায় পুরোটাই সম্পূর্ণ হয়েছে।

বিএসএফের জন্য ত্রিচি অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরিতে এই অ্যাসল্ট রাইফেল তৈরি করা হচ্ছে। তবে ইছাপুর রাইফেল ফ্যাক্টরিতে ৩ হাজার অতিরিক্ত বরাত দিয়েছে বিএসএফ। ইছাপুর রাইফেল ফ্যাক্টরির এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর পিকে বেহরা বলেন, চলতি বছরের মধ্যে বরাতের পুরোটাই সিআইএসএফ এবং বিএসএফের হাতে তুলে দেবেন তাঁরা। AK সিরিজের এই রাইফেল মূলত কালাশনিকভ রাইফেলের আদলেই তৈরি করা হচ্ছে।

৭.৬২ x ৩৯ এমএম ত্রিচি অ্যাসল্ট রাইফেলের বৈশিষ্ট্য

  • মোট ৩.৫ কেজি ওজন। (ম্যাগজিন ভরলে হবে ৪ কেজি)
  • মোট তিনটি মোড রয়েছে। সেভ মোড, সিঙ্গল মোড এবং স্বয়ংক্রিয় মোড।
  • সিঙ্গেল মোডে একবার ট্রিগার টিপলে একটা গুলি চলবে। কিন্তু স্বয়ংক্রিয় মোডে একটা ট্রিগারে এক মিনিটে ৬০০ রাউন্ড পর্যন্ত ফায়ার হতে পারবে।
  • ম্যাগজিনে থাকবে ৩০টি কার্তুজ।
  • ৩০০ থেকে ৮০০ মিটার রেঞ্জের মধ্যে থাকা শত্রুদের অনায়াসে খতম করতে সক্ষম এই অত্যাধুনিক অ্যাসল্ট রাইফেল।
  • অন্যান্য রাইফেলের তুলনায় এই রাইফেলের কার্তুজ বেরোনোর নলটি ছোট করা হয়েছে।
  • ছোড়া গুলির গতিও অনবদ্য। ট্রিগারে চাপ দেওয়ার পর সেকেন্ডে প্রায় ৫৩০ মিটার জোরে ছুটে যেতে পারে এই রাইফেলের কার্তুজ।
  • ইনসাস রাইফেলের কার্তুজ ৫.৫৬ মিলিমিটারের। এর তুলনায় একে সিরিজের ৭.৬২ মিলিমিটার কার্তুজ অনেক বেশি প্রাণঘাতী। কার্যক্ষমতাও অনেকটা বেশি।
  • ত্রিচি অ্যাসল্ট রাইফেলের দাম নির্ধারিত হয়েছে ৭৬ হাজার টাকা।
  • ত্রিচি অ্যাসল্ট রাইফেলের দৈর্ঘ্য প্রায় ৮৯০ মিলিমিটার।