Ration Rice: গরম জলে দিলেই আঠা আঠা হচ্ছে চাল! রেশনের চাল খেলে পেটের সমস্যায় গ্রামবাসীরা
রেশন থেকে যে চাল দেওয়া হচ্ছে তার মধ্যে রয়েছে প্লাস্টিক জাতীয় চাল। এমনটাই অভিযোগ করছেন গ্রামবাসীরা। আর দীর্ঘদিন এই চাল খেয়ে সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে গ্রামবাসীদের।
হাবড়া: রেশনে দেওয়া প্লাস্টিক চাল খেয়ে পেটের সমস্যায় ভুগছেন একাধিক গ্রামবাসী। এমনই অভিযোগ উঠল উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার হাবড়া বিধানসভার অন্তর্গত খারো নিমতলা এলাকায়। এই এলাকার প্রায় ২০০টি পরিবারের ভরসা রেশনের চাল। তা খেয়েই দিন কাটে তাঁদের। রেশন থেকে যে চাল দেওয়া হচ্ছে তার মধ্যে রয়েছে প্লাস্টিক জাতীয় চাল। এমনটাই অভিযোগ করছেন গ্রামবাসীরা। আর দীর্ঘদিন এই চাল খেয়ে সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে গ্রামবাসীদের। রেশনে যে চাল দেয়া হয় তার মধ্যে প্লাস্টিকের মতো দেখতে এমন চাল রয়েছে, সেই চাল গরম জলে দিলে আঠা আঠা হয়ে যায় এবং একটি অন্য রঙে পরিণত হয়। তা নিয়েই আতঙ্ক ছড়িয়েছে গ্রামবাসীদের মধ্যে। এ ব্যাপারে রেশন ডিলারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও রেশন ডিলার জানিয়েছেন, এর মধ্যে পুষ্টিকর জাতীয় এক ধরনের চাল মেশানো রয়েছে। সে গুলি এরকম হয়ে যায়। যদিও এই চাল নিয়মিত খাওয়ার পর পেটের সমস্যার দেখা দিচ্ছে গ্রামবাসীদের অনেকের। এ বিষয় নিয়ে পঞ্চায়েতের সদস্য দাবি করেন তৃণমূলকে কালিমা লিপ্ত করার জন্য কেউবা কারা প্লাস্টিকের চাল এর মধ্যে মিশিয়ে দিয়ে গুজব ছড়াচ্ছে। যদিও বিজেপি তরফ থেকে তীব্র ধিক্কার জানানো হয়েছে।
এ নিয়ে গ্রামবাসীরা বলেছেন, “এই চাল দিয়ে ভাত রান্না করলে গলে যাচ্ছে। আঠা আঠা হয়ে যাচ্ছে। আমরা রেশনের চালই খাই। আমরা ডিলারকে জানিয়েছি। তার পরও এই চালই দিয়ে যাচ্ছি। এই চালের ভাত খেয়ে পেটের সমস্যা হচ্ছে।” যদিও রেশন ডিলারের দাবি, চালের সঙ্গে পুষ্টিকর চাল মেশানো আছে। তার জন্যই এ রকম হয়েছে।
ঘটনা নিয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য ও তৃণমূল নেতা বিল্পব হালদার বলেছেন, “তৃণমূল সরকারের অপপ্রচার করার জন্য কেউ করে থাকতে পারে। আমি কয়েক দিন বাইরে ছিলাম। আমি খবর নেব। গোটা বিষয়টি দেখব, যাতে সাধারণ মানুষের কোনও অসুবিধা না হয়।” যদিও এ বিষয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি।