Baguiati murder case: কীভাবে খুন হয়েছিল অতুন-অভিষেক, ঘটনার পুনর্নির্মাণ করে দেখাল সত্যেন্দ্র
Baguiati murder case: এদিন হাড়োয়ার কুলটি এলাকায় যেখানে দশম শ্রেণীর ছাত্র অতনু দের মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছিল প্রথমে সেখানে নিয়ে যাওয়া হয় সত্যেন্দ্র সহ বাকি অভিযুক্তদের।
হাড়োয়া: বাগুইআটি জোড়া খুন (Baguiati murder case) নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে বারবারই উত্তাল হয়েছে বাংলার রাজ্য-রাজনীতি। এমনকী মূল অভিযুক্তের গ্রেফতারিতে বিলম্ব নিয়েও তৈরি হয়েছিল চাপানউতর। এ ঘটনার তদন্তে মাঠে নামে সিআইজি। শেষ পর্যন্ত গ্রেফতার হন মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরী। অবশেষে জোড়া খুনের ২২দিন পর ঘটনার মূল অভিযুক্তকে নিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করলো সিআইডি (CID) ও রাজ্য পুলিশ। সূত্রের খবর, যে জায়গা থেকে দেহ উদ্ধার হয়েছিল সেখানে নিয়ে যাওয়া হয় সত্যেন্দ্রকে।
প্রসঙ্গত, গত মাসের ২২শে অগস্ট দুই ছাত্র নিখোঁজ হয়ে যায় বলে জানা যায়। অভিযোগ, সত্যেন্দ্র ও তার দলবলদুই ছাত্রকে চারচাকা করে বসিরহাটের বাসন্তী হাইওয়ের কুলটি ও শিরিষতলা এলাকায় এনেছিল। কীভাবে তাঁদের আনা হয়েছিল, কোন পথ ধরে আনা হয়েছিল এদিন সে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা হয় বলে খবর। সবটাই তদন্তকারীদের খুলে বলেন সত্যেন্দ্র।
সূত্রের খবর, হাড়োয়ার কুলটি এলাকায় যেখানে দশম শ্রেণীর ছাত্র অতনু দের মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছিল প্রথমে সেখানে নিয়ে যাওয়া হয় সত্যেন্দ্র সহ বাকি অভিযুক্তদের। ন্যাজাট থানার বাসন্তী হাইওয়ের শিরিষতলায় অপর এক ছাত্র অভিষেক নস্করের মৃতদেহ পড়েছিল। বুধবার সেখানেও নিয়ে যাওয়া হয় সত্যেন্দ্রকে। কীভাবে দুই ছাত্রকে খুন করা এদিন তা সত্যেন্দ্রের কাছে বিশদে জানতে চান তদন্তকারীরা। একইসঙ্গে তাঁর বয়না ও ঘটনার পুনর্নির্মাণ দৃশ্য পুরোটাই ক্যামেরাবন্দি করেন তদন্তকারীরা। সহজ কথায় বাগুইআটি জোড়া খুনের তদন্তে যে তদন্তে গতি আনতে কোনও খামতিই রাখতে চাইছেন না তদন্তকারীরা, এদিনের ঘটনা থেকে তা আরও একবার পরিষ্কার হয়ে গেল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। প্রসঙ্গত, বাগুইআটি জোড়া খুন কাণ্ডে বারবারই তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই সাসপেন্ড করা হয়েছে বাগুইআটি থানার ওসিকে। একইসঙ্গে সাসপেন্ড করা হয়েছে বাগুইআটি থানার তদন্তকারী অফিসারকেও।