Arjun Singh: ৩৫ বছরের প্রাক্তন CPIM বিধায়কের বাড়িতে অর্জুন সিং, বৌমা বললেন, ‘আমরা তৃণমূলেরই’
CPIM: সিপিএম নেতা জগদীশ দাসের পরিবারের বৌমা সোমা দাস বলেন, "অর্জুনদাকে আমরা বড় দাদার মতো মানি। আর এটাই বোধহয় তৃণমূল কংগ্রেস। কে কোন দল সেটা বিষয় নয়। আমার পরিবার সিপিএমের লোক ছিলেন। তবে আমি কোনওদিনই সিপিএম করিনি। আর যাঁরা এখন আমরা আছি, সকলেই তৃণমূলের সমর্থক। অর্জুনদার মতো নেতা যেভাবে কাজ করেন, সেটা শেখার। ওনার মতো নেতা পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার।"
উত্তর ২৪ পরগনা: ৩৫ বছর বিধায়ক ছিলেন। বীজপুরের দাপুটে নেতা হিসাবেই পরিচিতি ছিল জগদীশ দাসের। বুধবার সেই নেতার বাড়িতে গেলেন ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং। প্রবীণদের নিয়ে এদিন এক গেটটুগেদারের আয়োজন হয়। সেই সময় জগদীশ দাসের বাড়িতে যান ব্যারাকপুরের সাংসদ। যদিও জগদীশবাবুর পরিবারের লোকজনের বক্তব্য, তাঁরা এখন আর বাম রাজনীতিতে নেই। বরং শাসকদলের কর্মকাণ্ডে তাঁরা অনেক বেশি প্রভাবিত।
সিপিএম নেতা জগদীশ দাসের পরিবারের বৌমা সোমা দাস বলেন, “অর্জুনদাকে আমরা বড় দাদার মতো মানি। আর এটাই বোধহয় তৃণমূল কংগ্রেস। কে কোন দল সেটা বিষয় নয়। আমার পরিবার সিপিএমের লোক ছিলেন। তবে আমি কোনওদিনই সিপিএম করিনি। আর যাঁরা এখন আমরা আছি, সকলেই তৃণমূলের সমর্থক। অর্জুনদার মতো নেতা যেভাবে কাজ করেন, সেটা শেখার। ওনার মতো নেতা পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার।”
অর্জুন সিংয়ের বক্তব্য, “বীজপুরের পুরনো মানুষ যাঁরা, দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূল করেন যাঁরা সকলে এক জায়গায় সম্মিলিত হয়েছি। আর এমন একটা বাড়িতে এসেছি যা কাঁচরাপাড়ায় বামপন্থী আন্দোলনের একটা বড় জায়গা ছিল। সোমাদি আমাদের ডেকেছেন।” তবে কি তৃণমূল ভোটের মুখে ঘর গোছানো শুরু করল? অর্জুনের জবাব, “যাঁরা রাজনীতি করে না, তাদের ঘর গোছাতে হয়। আমাদের এটা করতে হয় না। প্রতিনিয়ত মানুষের সঙ্গেই আমরা থাকি।”
তবে এরকম এক বামপন্থী পরিবারের সদস্যরা তৃণমূলে, তা নিয়ে নতুন করে আলোচনা শিল্পাঞ্চলে। যদিও সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য গার্গী চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, সোমা দাস ব্যক্তিস্বার্থকে সামনে রেখে এক সময় বিজেপি এবং এখন তৃণমূলে গিয়েছেন।