Basirhat: পাড়ে জুতো, জামা ও সাইকেল, নদীতে নেমে নিখোঁজ মৎস্যজীবী
Basirhat: ইতিমধ্যে প্রশিক্ষিত ডুবুরি সোনাই নদীতে নামানো হয়েছে। মৎস্যজীবী বাড়িতে না ফেরায় দুশ্চিন্তায় পরিবারের সদস্যরা।
উত্তর ২৪ পরগনা: নদীর পাড়ে জুতো, জামা ও সাইকেল। সেগুলি পাওয়া গিয়েছে, কিন্তু খোঁজ মিলছে না মানুষটার। ২৪ ঘণ্টা হয়ে গেলেও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না মৎস্যজীবীর। বসিরহাটের স্বরূপনগর থানার বালতি-নিত্যানন্দকাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের সোনাই নদীর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বালতির বাসিন্দা বছর ৬৫ এর জামালউদ্দিন সর্দার পেশায় মৎস্যজীবী। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনি প্রতিদিনই সোনাই নদীতে গিয়ে মাছ ধরেন। মাছ বিক্রি করেই তিনি জীবিকা নির্বাহ করেন। পরিবারের দাবি, রবিবার সকালেও সোনাই নদীতে মাছ ধরতে যান তিনি। তারপর তার আর খোঁজ পাওয়া যায়নি। ২৪ ঘণ্টা কেটে যাওয়ার পরেও বাড়ি না ফেরায় নিখোঁজ মৎস্যজীবীর পরিবার স্বরূপনগর থানায় একটি ডায়েরি করেন। সোমবার সকাল থেকে মৎস্যজীবীর খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে স্বরূপনগর থানার পুলিশ। নদীর ধার থেকে উদ্ধার হয়েছে ওই মৎস্যজীবীর জুতো, জামা ও সাইকেল।
ইতিমধ্যে প্রশিক্ষিত ডুবুরি সোনাই নদীতে নামানো হয়েছে। মৎস্যজীবী বাড়িতে না ফেরায় দুশ্চিন্তায় পরিবারের সদস্যরা। সীমান্ত এলাকা থেকে মৎস্যজীবী নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা নতুন নয়। সুন্দরবন লাগোয়া এলাকা হলে অন্য রকমের আতঙ্ক কাজ করে থাকে। সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকায় কাঁকড়া, মাছ ধরতে নিয়ে অনেক মৎস্যজীবীই বাঘের কবলে প্রাণ হারান। কিন্তু এক্ষেত্রে যে এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে, সেখানে সেরকম কোনও আশঙ্কা নেই। সেক্ষেত্রে মনে করা হচ্ছে. নদীতে তলিয়ে যেতে পারেন ওই মৎস্যজীবী। নদীর পাড়ে জুতো, সাইকেল রেখেই মাছ ধরতে গিয়েছিলেন। কোনও রকমের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে, অন্যদিকে এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কিনা, সেটাও খতিয়ে দেখছে স্বরূপনগর থানার পুলিশ।