Bhatpara: হাসপাতাল চত্বরের গাছ কাটা নিয়ে বিতর্ক, তুঙ্গে শাসক-বিরোধী তরজা
Bhatpara: ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে আমফানের সময়ে বেশ কিছু গাছ উপড়ে পড়ে গিয়েছিল। সেই গাছ কাটা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
উত্তর ২৪ পরগনা: ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে বে-আইনি গাছ কাটার ছবি প্রকাশ্যে আসতেই, তা নিয়ে তৃনমূল-বিজেপি বাক যুদ্ধ শুরু অজুহাত দেখাচ্ছেন হাস্পাতালের সুপার। ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে আমফানের সময়ে বেশ কিছু গাছ উপড়ে পড়ে গিয়েছিল। সেই গাছ কাটা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। হাসপাতাল সূত্রে খবর, এই গাছ কাটা নিয়ে বন দফতরে অভিযোগ জানিয়েছেন হাসপাতালের সুপারিটেনডেন্ট। তবে হাসতালের সুপার জানান, দীর্ঘদিন ধরে জঙ্গল হয়ে থাকায় হাস্পাতালে পোকামাকড় এবং মশার উৎপাত বেড়েই চলেছিল। এছাড়া ও হাইটেনশান তারে অসুবিধা সৃষ্টি করছিল। তাই জঙ্গল সাফ হচ্ছিল।
হাসপাতালের সুপারিটেনডেন্ট বলেন, “আমাদের হাসপাতাল চত্বর অত্যন্ত অপরিষ্কার ছিল। ডেঙ্গুর সংক্রমণ ছড়াচ্ছে সর্বত্র। সেই পরিস্থিতিতে এটা অত্যন্ত বিপজ্জনক। একটা বৈঠক ডাকা হয়েছিল। পুরসভাকে আমার অনুরোধ করেছিলাম, আমাদের লোক কম, এই ময়না যেন পরিষ্কার করে দেওয়া হয়। তারের ওপর দিয়ে গাছের ডাল ঝুলছিল, যে কোনও সময়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। জঙ্গলও দ্রুত পরিষ্কারের প্রয়োজন ছিল। সেইভাবে পুরসভা কাজ করেছে। কোনও নতুন গাছ কাটা হয়নি। বরং যে গাছগুলো আমফানে ঝড়ে উল্টে পড়ে গিয়েছিল, মরা গাছ, সেগুলিই নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে বন দফতরের অনুমতির প্রয়োজন হয় না। প্রয়োজন পড়ে নতুন গাছের ক্ষেত্রে। ” তবে জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম ও একই কথা জানান। তাঁর বক্তব্য, “আমফানের সময়ে কিছু গাছ পড়ে গিয়েছিল। সেগুলিকে কেটে জড়ো করার কথা হয়েছে। সুপারের সঙ্গেও কথা হয়েছিল।”
সাংসদ অর্জুন সিং অবশ্য দাবি করেন, পড়ে থাকা গাছ কেটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। প্রশাসনকে জানানো হয়েছে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। অর্জুন সিং বলেন, “আমি তো একটা ভিডিয়ো দেখেছিলাম, একজন ব্যক্তি গাছ কাটছেন, আরেকজন প্রতিবাদও করছেন। প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” তবে বিজেপির প্রশ্ন কীভাবে বেআইনিভাবে টেন্ডার না ডেকে হাস্পাতালের সরকারি গাছ কেটে নিচ্ছে? বিজেপির নেতার অভিযোগ তৃণমূলের চুরি ছাড়া আর কোন কাজ নেই। গাছ কাটার কাজ একাধিক জায়গায় হচ্ছে।