Rahul Sinha : “ভোট না হলে লোকের বাড়ি হাঁড়ি চড়বে না!” নির্বাচন কমিশনের ভোট পিছনো প্রসঙ্গে অসন্তোষ প্রকাশ রাহুলের

BJP leader : BJP leader : ভোট পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা। তিনি করোনা পরিস্থিতি স্থিতিশীল হওয়া অবধি ভোট অনির্দিষ্টকালের জন্য় পিছিয়ে দেওয়ার দাবি তোলেন।

Rahul Sinha : “ভোট না হলে লোকের বাড়ি হাঁড়ি চড়বে না!” নির্বাচন কমিশনের ভোট পিছনো প্রসঙ্গে অসন্তোষ প্রকাশ রাহুলের
রাহুল সিনহা (ফাইল ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 16, 2022 | 7:14 PM

বিধাননগর : সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনের তরফে পৌরসভা ভোট পিছিয়ে দেওয়ার ঘোষণা করা হয়েছে। ২২ জানুয়ারি বিধাননগর, চন্দননগর, আসানসোল এবং শিলিগুড়ি পৌরনিগমে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনা আবহে তা পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ২২ জানুয়ারির বদলে ১৪ ফেব্রুয়ারি এই চার পৌরনিগমে ভোট করার দিন ঘোষণা করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এই সিদ্ধান্ত নিয়ে অনেক জলঘোলা হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা গতকাল পুরসভা ভোটের প্রচারে বেরিয়ে এই বিষয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

চার পৌরনিগমের নির্বাচন নিয়ে প্রচারে জোর দিয়েছে শাসক শিবির-বিরোধী শিবির উভয়পক্ষই। গতকাল বিধাননগর পৌরনিগমের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপি প্রার্থী উমা শংকর ঘোষ দস্তিদারের সমর্থনে প্রচারে এসেছিলেন বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা। বিধাননগর এ এইচ ব্লকে হুড খোলা জিপে প্রচার করেন রাহুল সিনহা। তিনি বলেছেন, “এটা পরিষ্কার যে ভোট নিয়ে একটা ছেলেখেলা হচ্ছে। ভোট পিছনোর অর্থ কী? ভোট পিছনোর জন্য তো আরও সর্বনাশ হল। কারণ তাড়াতাড়ি ভোট হয়ে যেত। কিন্তু ভোট পিছনোর ফলে তো ৯ তারিখ পর্যন্ত আরও প্রচার চলবে। এর কোনও মানে নেই।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা আগেই বলেছিলাম যতক্ষণ পর্যন্ত করোনা পরিস্থিতি স্থিতিশীল হচ্ছে ততক্ষণ অবধি ভোট করানোর কোনও যৌক্তিকতা নেই। ” রাহুল সিনহা এদিন প্রচার থেকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য ভোট পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “আমি মনে করি এখনও সময় আছে, নির্বাচন কমিশনের উচিত অনির্দিষ্টকালের জন্য় ভোট পিছিয়ে দেওয়া। ১২ তারিখ অবধি যে ভোটটাকে টেনে নিয়ে যাওয়া হল তাতে আরও নির্বাচনী প্রচার হবে। আরও দূরত্ববিধি শিকেয় তুলে দেওয়া হবে। এতে কোভিড পরিস্থিতি খারাপ হবে, ক্ষতি হবে। এর ফলে কোনও বিন্দুমাত্র লাভ হবে না। ” তিনি এদিন নির্বাচন কমিশনের ভোট পিছিয়ে দেওয়া নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি আরও বলেন, “ভোট অন্তত ছয় সপ্তাহ পিছনো দরকার ছিল। নির্বাচন না হলে কী হবে! নির্বাচন না হলে লোকের বাড়ি হাড়ি চড়বে না! এতদিন তো এখানে নির্বাচন হয়নি। তাহলে কি সব রসাতলে চলে গিয়েছে? ”

উল্লেখ্য, করোনা আবহে পৌরসভা নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া নিয়ে আগেই সরব হয়েছিলেন বিরোধীরা। বিরোধীদের একাংশ ভোট পিছিয়ে দেওয়ার কথা বলেছিলেন। কিন্তু রাজ্য সরকারের তরফে সেরকম কোনও সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়নি। এই বিষয়ে হাইকোর্টে একাধিক মামলাও করা হয়েছিল। শাসক মহলের অন্দরেও এই নিয়ে আলোচনা পর্যালোচনা হয়। নবান্নের তরফেও ভোট পিছিয়ে দেওয়ার ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে। তারপরই নির্বাচন কমিশনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় , ১২ ফেব্রুয়ারি এই চার পৌরনিগমে ভোট হবে।

আরও পড়ুন : BJP: ‘শিল্পমন্ত্রী শৃঙ্খলা রক্ষায় ব্যস্ত, তাই এলন মাস্ককে সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রীকে ডাকতে হচ্ছে’, পার্থকে কটাক্ষ শমীকের