Sheikh Sahajahan: আরও ৮ দিন, ফের শাহজাহানকে নিজেদের ঘেরাটোপে পেল সিবিআই
Sandeshkhali: শেখ শাহজাহান সহ বাকি ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার জন্য আবেদন জানায় সিবিআই। শেখ শাহজাহানকে ১৪ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে চায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। যদিও শেষ পর্যন্ত বসিরহাট আদালতের বিচারক শাহজাহানকে আট দিনের ও বাকি সাত জনের পাঁচ দিনের সিবিআই হেফাজত মঞ্জুর করেছেন।
বসিরহাট: শেখ শাহজাহানকে ফের একবার সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। শেখ শাহজাহান এবং আরও সাত জনের এদিন সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে বসিরহাট আদালত। শাহজাহানকে আট দিনের সিবিআই হেফাজত এবং বাকি সাত জনের পাঁচ দিনের সিবিআই হেফাজত মঞ্জুর করেছে আদালত। প্রসঙ্গত, গত ৫ জানুয়ারি ইডির তদন্তকারী দলের উপর হামলার ঘটনায় পুলিশের তরফে একটি স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করা হয়েছিল। ন্যাজাট থানায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা হয়েছিল। পরবর্তীতে হাইকোর্টের নির্দেশে এই মামলাটিরও তদন্তভার হয়েছে সিবিআই। আজ সেই মামলায় শেখ শাহজাহান সহ বাকি ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার জন্য আবেদন জানায় সিবিআই। শেখ শাহজাহানকে ১৪ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে চায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। যদিও শেষ পর্যন্ত বসিরহাট আদালতের বিচারক শাহজাহানকে আট দিনের ও বাকি সাত জনের পাঁচ দিনের সিবিআই হেফাজত মঞ্জুর করেছেন।
উল্লেখ্য, এই মামলায় শাহজাহান বাদে বাকি যে সাত জনকে নিজেদের হেফাজতে পেল সিবিআই, সেই সাতজনকেই আগে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। ওই সাতজন জেল হেফাজতে ছিল। এবার সেই সাত জনকে জেল হেফাজত থেকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার জন্য বৃহস্পতিবার আদালতে আবেদন জানায় সিবিআই। যদিও দু’টি মামলাতেই পুলিশ আগেই শাহজাহানকে গ্রেফতার দেখিয়েছিল। প্রসঙ্গত, শেখ শাহজাহানকে ইতিপূর্বেই নিজেদের হেফাজতে নিয়েছিল সিবিআই।
আদালতের আগের নির্দেশ অনুযায়ী, ১৪ মার্চ অর্থাৎ, আজ পর্যন্ত শাহজাহানকে সিবিআই হেফাজতের রাখার নির্দেশ ছিল। এরপর আজ পুনরায় শাহজাহানকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার জন্য আদালতের কাছে আবেদন জানায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সিবিআইয়ের আইনজীবী ১৪ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে চাইলেও, আদালত আট দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেয়।
প্রসঙ্গত, গত ৫ জানুয়ারি যখন ইডির তদন্তকারী দল রেশন দুর্নীতির তদন্তে সন্দেশখালিতে শেখ শাহজাহানের বাড়িতে গিয়েছিল, তখন এক তীব্র জনরোষের মধ্যে পড়েছিল ইডির টিম। রক্তাক্ত হয়েছিলেন ইডির অফিসাররা। পরে ইডির তরফে এক প্রেস বিবৃতি দিয়ে দাবি করা হয়েছিল, যখন ইডির টিম আক্রান্ত হয়েছিল, তখন শাহজাহানের মোবাইলের লোকেশন দেখাচ্ছিল বাড়ির ভিতরেই।