Cyclone Update: চোখ রাঙাচ্ছে দানা, তার আগেই ফাটল নদীবাঁধে, সব হারানোর আশঙ্কায় সুন্দরবনবাসী
Cyclone Update:উপকূলবর্তী সুন্দরবনের হিঙ্গলগঞ্জের উপরেও এই ঘূর্ণিঝড় যথেষ্ট আঘাত আনতে পারে বলে আশঙ্কা করা হয়েছে। এই ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার আগেই আতঙ্কিত হিঙ্গলগঞ্জের দুলদুলি,সাহেবখালি সহ বিস্তীর্ণ এলাকার কয়েক হাজার মানুষেরা।
সুন্দরবন: ঘূর্ণিঝড় রেমালের কয়েক মাস পর আবারও চোখ রাঙাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় দানা। উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে ইতিমধ্যে সতর্কতা জারি হয়েছে। এরই মধ্যে এবার হিঙ্গলগঞ্জ-রায়মঙ্গল-কালিন্দী সহ বিভিন্ন নদী বাঁধে দেখা গিয়েছে ফাটল। বেহাল অবস্থায় নদী বাঁধ।
উপকূলবর্তী সুন্দরবনের হিঙ্গলগঞ্জের উপরেও এই ঘূর্ণিঝড় যথেষ্ট আঘাত আনতে পারে বলে আশঙ্কা করা হয়েছে। তাই এই ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার আগেই আতঙ্কিত হিঙ্গলগঞ্জের দুলদুলি,সাহেবখালি সহ বিস্তীর্ণ এলাকার কয়েক হাজার মানুষরা। এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে নদী বাঁধ সংস্কার হয় না একটু ঝড়-বৃষ্টি আসলেই নদী বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়। হিঙ্গলগঞ্জের রায়মঙ্গল কালিন্দী সহ বিভিন্ন নদী বাঁধের বেহাল দশা। কোথাও নদীবাঁধে ফাটল কোথাও বা নদী বাঁধের বেশিরভাগ অংশই ধুয়ে চলে গিয়েছে নদীতে। আর এই অবস্থার মধ্যে যদি ঘূর্ণিঝড় এই এলাকায় আছড়ে পড়ে তাহলে নদীর জলের চাপ বাঁধ ধরে রাখতে পারবে না। বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হবে বিস্তীর্ণ এলাকা।
এই এলাকার কয়েক ও চাষিরা সবে আমন ধানের চাষ করেছে। যদি নদীর বাঁধ ভেঙ্গে প্লাবিত হয় তাহলে বড়সড়ো ক্ষতির মুখে পড়তে হবে তাঁদের। তবে দানার মোকাবিলা করার জন্য সব রকম ভাবে প্রস্তুত রয়েছে প্রশাসনিক আধিকারিকরা। এ প্রসঙ্গে অনিল কয়াল বলেন, “নদীর পাশে আমাদের বাড়ি। জল বাড়লে সব শেষ হয়ে যাবে। ঝড় এলে সব উড়ে যাবে। খুব সমস্যার মধ্যে আমরা আছি। নদী বাঁধের সংস্কার চাইছি।”