Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Drug Smuggling Case: সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে যেত তরল মাদক, পুলিশের জালে ২

Drug Smuggling Case: পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে মাদক পাচারের সঙ্গে যুক্ত আনিসুর গাজি ও ফিরোজ মোল্লা। তাঁদের বাড়ি মাটিয়া থানা এলাকায়। তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে মাদক পাচার করত বলে পুলিশের কাছে খবর আসে।

Drug Smuggling Case: সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে যেত তরল মাদক, পুলিশের জালে ২
বসিরহাটে গ্রেফতার মাদক পাচারকারি (নিজস্ব চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 30, 2021 | 11:45 AM

উত্তর ২৪ পরগনা: বাংলাদেশে পাচারের আগে তরল মাদক-সহ দুই কুখ্যাত পাচারকারি গ্রেফতার। বসিরহাটের মাটিয়া থানার পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে হাজরাতলা থেকে দুই কুখ্যাত মাদক পাচারকারিকে গ্রেফতার করল। উদ্ধার হয়েছে দশ লিটার তরল মাদক।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে মাদক পাচারের সঙ্গে যুক্ত আনিসুর গাজি ও ফিরোজ মোল্লা। তাঁদের বাড়ি মাটিয়া থানা এলাকায়। তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে মাদক পাচার করত বলে পুলিশের কাছে খবর আসে। এদিন ভোররাতে মাটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক তাপস ঘোষের কাছে গোপন সূত্রে আসে। সেই খবরের ভিত্তিতে পুলিশের একটি বিশেষ টিম তাঁদেরকে গ্রেফতার করে। তাঁদের সঙ্গে আরও কোন মাদক পাচারকারি জড়িত আছে কিনা, সেটাও খতিয়ে দেখছে মাটিয়া থানার পুলিশ।

কলকাতায় একটা বড়সড় মাদকচক্র সক্রিয়। অসম থেকে পাচারের পথে মধ্যরাতে গোয়েন্দাদের জালে ধরা পড়ে মাদক পাচারকারি। উদ্ধার হওয়া মাদকের আনুমানিক মূল্য ছিল ২২ কোটি টাকা। বেলগাছিয়া মিল্ক কলোনির কাছে অভিযান চালিয়ে মাদক বাজেয়াপ্ত করেন তদন্তকারীরা।

প্রথমে একটি ট্রাক আটক করা হয়। চালকের কথায় অসঙ্গতি থাকায় চলে তল্লাশি। ট্রাকের ভিতরে থাকা ব্যাটারিবাক্সের ভিতর থেকে উদ্ধার হয়েছিল বিপুল পরিমাণ মাদক। উদ্ধার হয়েছে ২ কেজি হেরোইন ও প্রচুর পরিমাণে ইয়াবা ট্যাবলেট। গোয়েন্দারা বলছেন, উদ্ধার হওয়া হেরোইনের বাজারমূল্য আনুমানিক ১০ কোটি টাকা আর ইয়াবা ট্যাবলেটের দামও প্রায় ১২ কোটি টাকার মত। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ওই মাদক বাংলাদেশে পাচারের পরিকল্পনা ছিল। NDPS আইনে মামলা রুজু হয়। এই চক্রের মাথা খুঁজছেন গোয়েন্দারা। এক্ষেত্রেও ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে সূত্র খোঁজার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।

এর আগে ডায়মন্ড হারবারে মাদক চক্রের পর্দাফাঁস করে পুলিশ। ডায়মন্ড হারবার শহর ও তার আশেপাশের এলাকায় রমরমিয়ে চলছিল মাদক বিক্রি। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে মাদক বাজেয়াপ্ত করে। তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, ধীরে ধীরে মাদক চক্রে এখন বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মহিলারাই সক্রিয় হয়ে উঠছেন। তাঁরা সংসারও সামলাচ্ছেন, সঙ্গে ব্যবসাও। পুলিশি নজর এড়াতে এখন প্ল্যান বদলাচ্ছে পাচারকারিরাও।

উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই মাদক পাচারের তদন্তে নেমে সাফল্য পায় বারুইপুর জেলা পুলিশ। ২৩ জুলাই মাদক পাচারকারি অভিযোগে এক মহিলাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তদন্তে নেমে ঘুটিয়ারি শরিফ থানায় একটি কেস রেজিস্টার করেন তদন্তকারীরা। সাইমা নামে একজন মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সাজিনা বিবি নামে আরও একজনকে গ্রেফতার করা হয়। দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলা জুড়ে এই জাল ছড়ানো বলে তদন্তে জানতে পেরেছে পুলিশ। আরও অনেকেই এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। তাঁদের সন্ধানে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।

আরও পড়ুন: Sundorbon Sand Smuggling: ‘পুলিশকে কিছু দিই’! প্রত্যেক দিন মাতলা নদীর বুক থেকে ‘বিশেষ সম্পদ চুরি’ করছেন শ’দুয়েক গ্রামবাসী