Duttapukur: স্কুলে যাওয়ার পথে লরি চাকায় পিষে যায় শিক্ষিকার শরীর, ২ জনের মৃত্যুকে ফুঁসছে দত্তপুকুর
Duttapukur: লরির তলায় চলে যান শিক্ষিকা ও ভ্যানচালক। লরির চাকায় পিষ্ট হয়ে যান দু'জন। দু'জনের মৃত্যুতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। প্রতিবাদে রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ফেলে বাঁশ দিয়ে রাস্তা অবরোধ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
দত্তপুকুর: সাতসকালে স্কুলে যাচ্ছিলেন। বেপরোয় লরির ধাক্কায় মৃত্যু হল শিক্ষিকা-সহ ২ জনের। ঘটনাকে ঘিরে উত্তপ্ত দত্তপুকুরে নীলগঞ্জ রোড এলাকায়। প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ স্থানীয় বাসিন্দাদের। ঘটনাস্থলে দত্তপুকুর থানার পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে গ্রামেরই আইসিডিএস সেন্টারের এক শিক্ষিকা এভ্যান চেপে স্কুলে যাচ্ছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, হঠাৎই সামনে চলে আসে ১২ চাকার লরি। লরির গতিবেগ স্বাভাবিকের থেকে বেশি ছিল। লরি সামনে চলে আসায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন চালক। একবারে লরিটিকে পিষে দেয় ১২ চাকার লরি।
লরির তলায় চলে যান শিক্ষিকা ও ভ্যানচালক। লরির চাকায় পিষ্ট হয়ে যান দু’জন। দু’জনের মৃত্যুতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। প্রতিবাদে রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ফেলে বাঁশ দিয়ে রাস্তা অবরোধ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অবরোধ তুলতে গেলে বিক্ষোভের মুখে পড়ে পুলিশও।
পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান এলাকাবাসীরা। পুলিশের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দেন। তাঁদের বক্তব্য, এই রাস্তার ধারেই স্কুল। অথচ যান নিয়ন্ত্রণের কোনও ব্যবস্থাই নেই। রাস্তা দিয়ে বেপরোয়া গতিতে ভারী যান চলাচল করে। এর আগে পুলিশকে একাধিকবার বিষয়টি জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। সিভিক ও গার্ড রেল দেওয়ার দাবিতে চলে গণ স্বাক্ষর গ্রহণ। ঘটনাস্থলে যান দত্তপুকুর থানার পুলিশের উচ্চ পদস্থ কর্তারা ও বারাসাতের এসডিপিও। এসডিপিও-র আশ্বাসে প্রায় ১ঘণ্টা পর অবরোধ তুলে নেন স্থানীয় বাসিন্দারা।