ব্যর্থ নির্বাচন কমিশন, চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল শীতলকুচি: অধীর
উত্তরবঙ্গে শীতলকুচিতে (Shitalkuchi) পাঁচ ব্যক্তির মৃ্ত্যুকে ঘিরে শাসক-বিরোধী চাপানউতর উঠেছে চরমে।
উত্তর ২৪ পরগনা: শীতলকুচি-কাণ্ডে ব্যর্থ নির্বাচন কমিশন (EC)। দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে সরব হলেন অধীর চৌধুরী। এই কংগ্রেস সাংসদের দাবি, রাজ্যে সাম্প্রদায়িক শক্তি মাথাচাড়া দিচ্ছে। তার ফলেই নির্বিচারে সাধারণ মানুষকে প্রকাশ্যে গুলি করে মারা হচ্ছে। ভোটের সমস্ত দায়িত্ব কমিশনের। তাই শীতলকুচির ঘটনার দায়িত্বও তারা এড়িয়ে যেতে পারে না বলেই দাবি করেন অধীর।
রবিবার বসিরহাট মহকুমার বাদুড়িয়া বিধানসভা কেন্দ্র ও বসিরহাট দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী আব্দুস সাত্তার ও অমিত মজুমদারের প্রচারে বাদুড়িয়ার কাটিয়াহাটের মাঠে প্রকাশ্য জনসভা করেন রাজ্য প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি অধীর চৌধুরী। সেখানেই তিনি বলেন, “যেভাবে সাম্প্রদায়িক শক্তি রাজ্যে মাথাচাড়া দিয়েছে, কোচবিহারের শীতলকুচি তারই নিদর্শন। শীতলকুচিতে যে ভাবে সাধারণ মানুষকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, বোঝা যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন ব্যর্থ। এটা একটা ভয়ঙ্কর ঘটনা। যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, অবিলম্বে তাদের গ্রেফতার করতে হবে।” একইসঙ্গে অধীরের হুঙ্কার, “আমরা নির্বাচন কমিশনকে দায়ী করে বলছি, তারা ভোট করাতে বাংলায় ব্যর্থ।
আরও পড়ুন: ফের বিধ্বংসী আগুন! দাউ দাউ করে জ্বলছে টায়ার কারখানা
শনিবার চতুর্থ দফার ভোটের সকালে শীতলকুচিতে সিআইএসএফের গুলিতে মৃত্যু হয় চারজনের। এরপর গ্রামবাসীদের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষের জেরে কার্যত রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে শীতলকুচি। কমিশনের নির্দেশে স্থগিত করা হয় ভোটপ্রদান। অধীরের দাবি, বাংলার জল-হাওয়া-মাটির সঙ্গে খুব একটা পরিচিতি নেই নির্বাচন কমিশনের। তাই অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট করার আশ্বাস দিলেও শান্তি বারবার বিঘ্নিত হচ্ছে ভোটের বাংলায়। শীতলকুচিতে মৃত্যু মিছিলের দায় কমিশনকেই নিতে হবে বলে দাবি করেন অধীর।
আরও পড়ুন: কংগ্রেসের প্রচার ঘিরে মানিকচকে ধুন্ধুমার, ডালুবাবুর গাড়িতে হামলা
আরও পড়ুন: দুবরাজপুরে বিজেপি প্রার্থীর উপর হামলা, কাঠগড়ায় তৃণমূল