Child marriage: কোথায় সচেতনতা? বাল্যবিবাহ রুখতে গিয়ে হেনস্থার মুখে সরকারি আধিকারিকরা
North 24 pargana: বিয়ে রুখতে গেলে রীতিমত সরকারি আধিকারীকদের গালিগালাজ করে মেয়ের বাড়ির লোকজন।
বসিরহাট: সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে প্রস্তাব আনা হয় মেয়েদের বিয়ের বয়স বাড়িয়ে একুশ করতে হবে। এর প্রেক্ষিতে মোদী সরকার সওয়াল করেছিলেন যাতে মহিলারা আরও উচ্চ-শিক্ষিত হয়ে সাবলম্বী হতে পারেন সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত। একদিকে যখন বারবার সচেতনতার পাঠ পড়ানো হয়েছে তখন কি আদৌ সচেতন হচ্ছে সমাজ?
কী ঘটেছে?
বসিরহাট মহকুমার হাসনাবাদ ব্লকের ভেবিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ ভেবিয়া এলাকার ঘটনা। সতেরো বছর বয়সী একাদশ শ্রেণীর এক ছাত্রীর বিয়ে হচ্ছিল এক যুবকের সঙ্গে। পাত্রীর বাড়িতে বিয়ের সমস্ত আয়োজনও সম্পন্ন। এইবার এই ঘটনা জানাজানি হয়ে যায় গোটা এলাকায়। মেয়েটি প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া গ্রামবাসীদের মধ্যে কয়েকজন কলকাতার সল্টলেকের কন্যাশ্রী দফতরে ফোন করে পুরো বিষয়টি জানায়।
পুরো বিষয়টি জানার পর ফোন যায় হাসনাবাদ বিডিও মোস্তাক আহমেদের কাছে। বিডিওর নির্দেশে কন্যাশ্রী আধিকারিক প্রণব মুখোপাধ্যায় সহ পাঁচ জনের একটি প্রতিনিধিদল বিয়ে বাড়িতে হাজির হন। তাঁদের দেখে নাবালিকা ছাত্রী, তার বাবা জালালঊদ্দিন মল্লিক ও মা সালমা মল্লিক ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন। সরকারি আধিকারিকরা ওই ছাত্রীর অভিভাবকদের অনেক বোঝানোর চেষ্টা করেন। পরিবারকে বারবার বলা হয় বাল্যবিবাহ অপরাধ, এই বিয়ে তাঁরা দিতে পারেন না। পাশপাশি তাঁরা একটি মুচলেকাও চান। কিন্তু এর মধ্যেই বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে নাবালিকার বাবা-মা ও আধিকারিকরা।
এলাকায় উপস্থিত হন স্থানীয় বাসিন্দারাও। তাঁদের মধ্যে কেউ-কেউ আবার চিৎকার-চেঁচামেচি জুড়ে দেন। সরকারি আধিকারিকদের একদিকে হেনস্থা, অন্যদিকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ দিতে শুরু করেন তারা। প্রায় ১ ঘণ্টা ধরে চলে এই বচসা। মুচলেকা দিতে অস্বীকার করেন নাবালিকা ছাত্রীর বাবা ও মা। বিয়ে বাড়ি থেকে ফিরে আসেন আধিকারিকরা। পুরো বিষয়টা হাসনাবাদ থানার পুলিশকে জানানো হয়। আধিকারিকরা এই নাবালিকা ছাত্রীর পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন থানায়। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
যদিও, এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কেউ আটক বা গ্রেফতার হয়নি। এমনকী বিয়ে বন্ধ করা হয়েছে বলেও কোনও খবর পাওয়া যায়নি। এলাকায় যথেষ্ট চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঘটনায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ কন্যাশ্রী দফতরের আধিকারিকরা। তারা জানাচ্ছেন, পড়াশোনার জন্য সরকারি এত সুযোগ সুবিধা থাকতে কেন নাবালিকা ছাত্রীকে বিয়ে দিচ্ছে পরিবারের লোকজন। তাহলে কেন এত প্রচার? কেন এত সচেতনতা? সমাজের এই অন্ধকার জগৎ থেকে এখনো কি বেরিয়ে আসতে পারিনি প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ? সেই প্রশ্ন আরও একবার উঠে গেল। এই ঘটনায় ভেবিয়া এলাকায় যথেষ্ট চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: BJP Party Office: পৌর নির্বাচনের আগেই ধুন্ধুমার, ছিঁড়ে দেওয়া হল বিজেপির পতাকা, ফেস্টুন, ব্যানার!