শোভারানি মণ্ডলকে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে খুন, সিবিআই-এর জালে ১
Jagaddal: এই নিয়ে ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় মোট ৫ জনকে গ্রেফতার করল সিবিআই। নদিয়ার খুনে গ্রেফতার করা হয়েছে ৪ জনকে।
উত্তর ২৪ পরগনা: ভোট পরবর্তী হিংসায় জগদ্দলে এক মহিলার খুনের ঘটনায় সিবিআই গ্রেফতার করল এক জনকে। ধৃতের নাম রতন হালদার।
২ মে ভোট পরবর্তী হিংসার বলি হন শ্যামনগরের রাউতা বিআরএক কলোনির বাসিন্দা শোভারানি মণ্ডল। তাঁর ছেলে বিজেপি কর্মী ছিল। ভোট পরবর্তী পর্যায়ে তাঁর ওপর তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে। ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হন মা শোভারানি। বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে তাঁকে খুন করা হয়। ঘটনায় প্রাথমিক পর্যায়ে তদন্ত করে পুলিশ। জগদ্দল পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, , বৃহস্পতিবার বারাকপুর আদালতে আত্মসমর্পণ করেন রতন হালদার। গভীর রাতে তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই। সূত্রের খবর, আপাতত সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন ওই ব্যক্তি। এই নিয়ে ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় মোট ৫ জনকে গ্রেফতার করল সিবিআই। নদিয়ার খুনে গ্রেফতার করা হয়েছে ৪ জনকে।
ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় বাড়ল মামলার সংখ্যা। আরও ৩ টি এফআইআর রুজু করেছে সিবিআই। মামলার সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩৪। নতুন ৩টি মামলার মধ্যে ১টি নদিয়া জেলা ও ২টি উত্তর২৪ পরগনার। নদিয়ার চাপড়ায় খুনের মামলায় এদিকে ধৃত ৪ জনকে রাতভর মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করেছে সিবিআই।
গত শনিবারই, নদিয়ার হৃদয়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতে নিহত বিজেপি কর্মী ধর্ম মণ্ডলের মৃত্যু মামলায় সিবিআইয়ের জালে গ্রেফতার দুই। আটক হওয়া অসীমা ঘোষ ও বিজয় ঘোষকে চাপড়া থানায় নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস মামলায় প্রথম তাঁদের গ্রেফতার করা হয়।
গত ১৪ মে হৃদয়পুরে নিজের বাড়িতেই খুন হন ধর্ম মণ্ডল। অভিযোগ তীর ছিল তৃণমূলের দিকে। বাড়িতে ঢুকে ওই বিজেপি কর্মীর উপরে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে ভর্তি করা হয় চাপড়া গ্রামীণ হাসপাতালে। সেখান থেকে তাঁকে পাঠানো হয় শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে। তারপর তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় কলকাতার এনআরএস হাসপাতালে। সেখানেই গত ১৬ মে মৃত্যু হয় ধর্মের।
পারিবারিক অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ প্রাথমিকভাবে গ্রেফতার করে ৭ জনকে। তবে পরিবারের অভিযোগ, পঞ্চায়েত সদস্য কালু শেখের নেতৃত্বে ওই হামলা হলেও তাঁকে গ্রেফতার করা হয়নি।
ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্তে মোট ৮৪ জন তদন্তকারী অফিসার বা আইও-র মধ্যে ইন্সপেক্টর, ডিএসপি পদমর্যাদার অফিসার রয়েছেন। এছাড়া ২৫ জন কর্তা রয়েছেন এই দলে। জয়েন্ট ডিরেক্টর, ডিআইজি, এসপি পদমর্যাদার এই ২৫ জন অফিসার।
প্রত্যেক জোনের টিমে ২১ জন করে তদন্তকারী অফিসার বা আইও। ইতিমধ্যেই রাজ্যে পৌঁছেছেন 4 যুগ্ম অধিকর্তারা। পৌঁছেছেন বেশিরভাগ ডিআইজি ও এসপি। রাজ্যে ১৫ টি খুন এবং ৬ টি ধর্ষণের মামলায় ২৭ অগাস্ট ১১টি এফআইআর দায়ের করেছিল সিবিআই। খুন, খুনের চেষ্টা, বেআইনি অস্ত্র রাখা, অপহরণ, অনুপ্রবেশের মতো একাধিক অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআরগুলি দায়ের করা হয়। গত শনিবার আরও ১০টি এফআইআর দায়ের করা হয়। ২৯ অগস্ট আরও সাতটি এফআইআর দায়ের করা হয়। পরে আরও দুদফায় চারটি ও তিনটি এফআইআর দায়ের করা হয়। আরও পড়ুন: ‘ভোট পরবর্তী হিংসা’ মামলায় প্রথম চার্জশিট দাখিল সিবিআইয়ের