West Bengal Congress: গিনিপিগের থেকেও খারাপ…! মহুয়াকে সমর্থন করায় অধীরকে ধুয়ে দিলেন কৌস্তভ

Koustav Bagchi: অধীর চৌধুরী মহুয়ার পাশে দাঁড়িয়ে লোকসভার স্পিকারকে চিঠি পাঠানোয় বেশ বিরক্ত কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচি। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদক্ষেপকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, "ইতিমধ্যেই মহুয়া মৈত্রের পাশে দলকে দাঁড়াতে দেখা যাচ্ছে। এরপর হয়ত সব চোরদের সাধু বলতে হবে। তাদের যত দুর্নীতি, সব সমর্থন করতে হবে।"

West Bengal Congress: গিনিপিগের থেকেও খারাপ...! মহুয়াকে সমর্থন করায় অধীরকে ধুয়ে দিলেন কৌস্তভ
অধীরকে খোঁচা কৌস্তভেরImage Credit source: Facebook
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 02, 2023 | 2:42 PM

বহরমপুর ও ব্যারাকপুর: বিতর্কের আবহে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের পাশে দাঁড়াতে দেখা গিয়েছে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরীকে। সহ-সাংসদ মহুয়ার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে চর্চা মোটেই পছন্দ করছেন না অধীর। সেই নিয়ে আগেই নিজের বক্তব্য জানিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। আর এবার তৃণমূল সাংসদের পাশে দাঁড়িয়ে সরাসরি লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার কাছে চিঠি পাঠিয়ে দিয়েছেন অধীর। ‘ক্যাশ ফর কোয়ারি’ বিতর্কে মহুয়া ইস্যুতে এথিক্স কমিটির রিপোর্ট পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে লোকসভার স্পিকারের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা।

আগামী সোমবার সংসদের শীতকালীন অধিবেশন শুরু হচ্ছে। অধিবেশন শুরু হলে, লোকসভার স্পিকারের কাছে জমা পড়বে এথিক্স কমিটির রিপোর্ট। এরপরই ভাগ্য নির্ধারণ হবে তৃণমূল সাংসদের। এমন অবস্থায়, অধিবেশন শুরুর আগে স্পিকার ওম বিড়লাকে চিঠি পাঠিয়ে এথিক্স কমিটির রিপোর্ট পুনর্বিবেচনার আর্জি জানালেন অধীর। শনিবার মুর্শিদাবাদ থেকে সাংবাদিক বৈঠকেও এই বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন অধীর। তাঁর বক্তব্য, “যেভাবে এথিক্স কমিটির নাম করে অপমান করা হচ্ছে, যেভাবে এথিক্স কমিটি নিজে সংসদের নিয়ম ভাঙছে, তাতে এথিক্স কমিটি নিয়ে নতুন করে ভাবনা চিন্তা করা দরকার। মহুয়া মৈত্রর ক্ষেত্রেও যেভাবে একজন সাংসদের ভাবমূর্তি কলুষিত করার চেষ্টা হল, তাতে কতটা যুক্তি রয়েছে, কতটা বদলার মানসিকতা রয়েছে, সেটা দেখা দরকার।”

এদিকে অধীর চৌধুরী মহুয়ার পাশে দাঁড়িয়ে লোকসভার স্পিকারকে চিঠি পাঠানোয় বেশ বিরক্ত কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচি। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদক্ষেপকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “ইতিমধ্যেই মহুয়া মৈত্রের পাশে দলকে দাঁড়াতে দেখা যাচ্ছে। এরপর হয়ত সব চোরদের সাধু বলতে হবে। তাদের যত দুর্নীতি, সব সমর্থন করতে হবে। একটি স্পষ্ট ভাব-ভালবাসার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। এখান থেকে একটাই উপলব্ধি, পশ্চিমবঙ্গের কংগ্রেস কর্মীদের থেকে গিনিপিগের অবস্থাও ভাল হয়। গিনিপিগদের নিয়েও এত পরীক্ষা-নিরিক্ষা হয় না।”