Sougata Roy: বাগুইআটি জোড়া খুন কাণ্ডে পুলিশের ওপর ক্ষোভ ছিল স্থানীয়দের : সৌগত রায়
Sougata Roy: বাগুইআটি জোড়া হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল বামেরাও।
বরানগর: ঘটনার পর কেটে গিয়েছে ২ সপ্তাহের বেশি সময়। খুনিদের ধরতে জোরদার তদন্ত চালাচ্ছিল সিআইডি। অবশেষে বাগুইআটি জোড়া খুন কাণ্ডে (Baguiati Murder) সিআইডি-র (CID) জালে ধরা পড়েছে মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরী। এদিকে বাগুইআটির জোড়া খুন কাণ্ড নিয়ে বিগত কয়েকদিন ধরেই বিস্তর চাপানউতর চলছিল রাজনৈতিক মহলের। প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে। প্রশ্নের মুখে পড়েছিল পুলিশের ভূমিকা। এবার সেই পুলিশের বিরুদ্ধে জনতার ক্ষোভ নিয়ে প্রকাশ্য়েই মন্তব্য করতে দেখা গেল তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়কে (Trinamool MP Sougata Roy)। একইসঙ্গে দোষীকে দ্রুত গ্রেফতারির জন্য পুলিশকে ধন্যবাদও জানান তিনি।
বরানগর পৌরসভা ও থানার যৌথ উদ্যোগে কৃতি ছাত্র-ছাত্রীদের সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল বরানগর পৌরসভার রবীন্দ্র ভবন হলে। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দমদম লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ সৌগত রায়। সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে সৌগত বলেন, “বাগুইআটিতে আমারই কেন্দ্রে একটি ১৫, একটি ১৬ বছরের ছেলে নৃশংসভাবে খুন হয়েছে। সাধারণ মানুষের ক্ষোভ ফেটে পড়েছিল সেই খুনকে কেন্দ্র করে। ক্ষোভ অনেকটাই পুলিশের বিরুদ্ধে ছিল।”
এরপর সৌগতকে আরও বলতে শোনা যায়, “মুখ্যমন্ত্রী দোষীদের ধরার নির্দেশ দিয়েছেন। নাহলে পুলিশের বড় কর্তাদের শাস্তির কথা বলেছেন। আজ সকালে খুনি সত্যেন্দ্র চৌধুরী ধরা পড়েছে হাওড়া স্টেশন থেকে। এই নৃশংস খুনিকে ধরতে পারার জন্য আমি পশ্চিমবঙ্গের পুলিশকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানাই। আমরা কালেকেই ওদের বাড়ি গিয়েছিলাম। ওরা মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত হচ্ছিল। মুখ্যমন্ত্রী আগেই বলেছিলেন আজকালের মধ্যে ধরা পড়ে যাবে খুনি। সেটা যে আজই ধরা পড়ে যাবে সেটা আমি ভাবিনি।” বাগুইআটি জোড়া হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্য-প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন বাম নেতারা। তবে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ উঠতেই সাসপেন্ড করা হয়েছিল বাগুইআটি থানার ওসিকে। সেই সঙ্গে সাসপেন্ড করা হয় বাগুইআটি থানার তদন্তকারী অফিসারকেও।