Bike smuggling: লাগাতার বাইক চুরি করে বাংলাদেশে পাচার, পুলিশ সক্রিয় হতেই উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য
Basirhat: ছয় মাস ধরে বহু বাইক ছিনতাই হচ্ছিল। কখনো পুলিশের নজরদারি এড়িয়ে, আবার কখনো সিসিটিভির আড়াল করে, কখনো আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে চুরি হচ্ছিল একের পর এক বাইক।
বসিরহাট: গত কয়েকমাস থেকে লাগাতার চুরি হচ্ছিল বাইক। কখনও আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে কখনও বা মালিকের অজান্তেই। লাগাতার অভিযোগের জেরে এরপর নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। গ্রেফতার করা হয় আন্তর্জাতিক বাইক পাচার চক্রের পাণ্ডা।
সূত্রের খবর, বসিরহাট মহকুমার বসিরহাট, মিনাখাঁ, হাড়োয়া ও সন্দেশখালি সহ একাধিক থানা এলাকায় গত ছয় মাস ধরে বহু বাইক ছিনতাই হচ্ছিল। কখনো পুলিশের নজরদারি এড়িয়ে, আবার কখনো সিসিটিভির আড়াল করে, কখনো আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে চুরি হচ্ছিল একের পর এক বাইক। এবার এই নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে পুলিশের কাছে জমা পড়ছিল একের পর এক অভিযোগ।
ঘটনা প্রসঙ্গে বসিরহাট পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সৌতম ব্যানার্জী বলেন, “মিনাখাঁর এসডিপিও নির্মল কুমার দাস, হাড়োয়ার সিআই তপন আগুয়ান ও মিনাখাঁ থানার ওসি সিদ্ধার্থ মণ্ডলের নেতৃত্বে মিনাখাঁ থানার চৈতল এলাকা থেকে দুই বাইক ছিনতাইকারী মহিউদ্দিন মোল্লা ও এসানুর মোল্লাকে গ্রেফতার করে চাঞ্চল্যকর তথ্য পায় পুলিশ। এরা বসিরহাটের বিভিন্ন থানা এলাকা থেকে বাইক ছিনতাই করতো। অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করে বসিরহাট পুলিশ জেলার বিভিন্ন থানা এলাকা থেকে দশটি বাইক উদ্ধার করা হয়ছে। সেই বাইকগুলি একদিকে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। অন্যদিকে বাইকের বিভিন্ন অংশ চোরাই ভাবে বিক্রি করার অভিযোগ রয়েছে এদের বিরুদ্ধে। উদ্ধার হওয়া বাইক গুলির মূল্য কয়েক লক্ষ টাকা। ধৃত দুই দুষ্কৃতীকে বসিরহাট মহকুমার আদালতে তোলা হয়।”
প্রসঙ্গত, একাধিকবার পাচারের ঘটনা সামনে আসে। কখনও বাইক পাচার, কখনও গোরু, কখনও সোনা, রূপো আরও অনেক কিছু। আর সেই সমস্ত জিনিস এদেশ পেরিয়ে বাংলাদেশে পাচার করে অপরাধীরা। যদিও সক্রিয় থাকে পুলিশও। একাধিকবার অপরাধীদের পাকরাও করেছে তারা। এরপর আজকের ঘটনা রীতিমত চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে এলাকায়।
আরও পড়ুন: Madarihat Shootout Update: ‘কয়েকদিন ছাড়াই চলে গুলি, প্রাণ যায় মানুষের! পুলিশ কী করছে?’
আরও পড়ুন: Nadia Land issue: দখলের অভিযোগ, পুরসভা থেকে চিঠি দিয়ে জমি খালির নির্দেশ কো-অর্ডিনেটরকে