Mother and son death: উচ্চশিক্ষিত মা ও ছেলে, কিন্তু তবুও তারা কেন বেছে নিলেন চরম পথ? উঠছে প্রশ্ন
Barasat: পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আর পাঁচটা দিনের মতোই রবিবার পরিবারের সকলের সঙ্গে সকাল থেকে কাটিয়েছিলেন মা ও ছেলে।
উত্তর ২৪ পরগনা: মা অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষিকা (School Teacher)। ছেলেও বর্তমানে শিক্ষকতা করেন একটি স্কুলে। যদিও তার কিছু মানসিক সমস্যা ছিল। পরিবারের এই দুই সদস্যের আকস্মিক মৃত্যুর মর্মান্তিক ঘটনায় থমথমে গোটা বাড়ি। মা-ছেলের জোড়া আত্মহত্যায় রবিবার চাঞ্চল্য ছাড়ায় উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরে। মৃতদের নাম, প্রমিত বিশ্বাস(৪০) ও সুনন্দা বিশ্বাস(৬৭)। পুলিশ মৃতদেহ দু’টি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। কী কারণে এই মৃত্যু তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আর পাঁচটা দিনের মতোই রবিবার পরিবারের সকলের সঙ্গে সকাল থেকে কাটিয়েছিলেন মা ও ছেলে। কিন্তু বিকাল হতেই ছন্দপতন। বন্ধ ঘরে সাড়াশব্দ না পেয়ে সন্দেহ হয় পরিজনদের। দরজা খুলে ভিতরে ঢুকে তারা দেখেন সিলিং থেকে ঝুলছে জোড়া দেহ। তড়িঘড়ি তাদের উদ্ধার করে অশোকনগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাদের মৃত বলে ঘোষণা করেন।
পরিবারের দাবি, মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন প্রমিত। কিন্তু তবুও নিয়মিত স্কুলে যেতেন। মাঝেমধ্যেই তাঁর ব্যবহারে অসামঞ্জস্য লক্ষ্য করতেন সহকর্মীরা। যদিও সেটি কখনও সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়নি। প্রত্যেকেই মানিয়ে নিতেন প্রমিতের সঙ্গে।
এ দিকে, মা সুনন্দাও পেশায় স্কুল শিক্ষিকা ছিলেন। তবে বর্তমানে তিনি অবসর নিয়েছিলেন। মৃত মা ও ছেলে দুজনেই উচ্চশিক্ষিত। ফলে তাদের আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত রহস্যের জন্ম দিয়েছে। সেই রহস্যের জট খুলতে আপাতত পরিবারের লোকজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন তদন্তকারীরা। মৃতের পরিবারের এক আত্মীয় বলেন, ‘অসুস্থতা ঠিকের পর্যায়ে আসেনি। সম্প্রতি কাউকে না বলে বেরিয়ে যান। তবে নিজেই ফিরে আসেন। ও এইরকমই। ওর মা বড্ড বেশীই চিন্তা করত। ওনার স্বামী মারা গিয়েছেন। তাই ছেলেকে নিয়েই চিন্তা বেশী করে।’