Basirhat Child Death: মামাবাড়িতে এসে মর্মান্তিক পরিণতি পাঁচ বছরের শিশুর
Basirhat Child Death: জানা যাচ্ছে, মধ্যমগ্রামের দাঁড়িয়া এলাকার বাসিন্দা রবিউল ইসলাম তাঁর স্ত্রী আখিরাতুন্নেসা বিবি ও বছর পাঁচেকের শিশু রিয়াজুল ইসলামকে নিয়ে দাদু শফিকুল সর্দারের বাড়িতে ট্যাংরা গ্রামে গিয়েছিলেন।
উত্তর ২৪ পরগনা: মামাবাড়িতে গিয়ে মর্মান্তিক পরিণতি শিশুর। পুকুর থেকে উদ্ধার হল শিশুপুত্রের দেহ। ঘটনাকে ঘটেছে বসিরহাটের হাসনাবাদের পাটলিখানপুর গ্রামে। বছর পাঁচেকের মৃত শিশুটির নাম রিয়াজুল ইসলাম।
জানা যাচ্ছে, মধ্যমগ্রামের দাঁড়িয়া এলাকার বাসিন্দা রবিউল ইসলাম তাঁর স্ত্রী আখিরাতুন্নেসা বিবি ও বছর পাঁচেকের শিশু রিয়াজুল ইসলামকে নিয়ে দাদু শফিকুল সর্দারের বাড়িতে ট্যাংরা গ্রামে গিয়েছিলেন। পরিবারের সদস্যরা জানাচ্ছেন, বাড়ির সামনেই উঠোনে খেলছিলেন শিশুটি। আচমকাই শিশুটির খোঁজ মিলছিল না। সঙ্গে সঙ্গেই পরিবারের সদস্যরা শিশুটির খোঁজ শুরু করেন।
বাবা-মা ও পরিবারে অন্যান্য সদস্যরা আশপাশের সম্ভাব্য সমস্ত জায়গাতেই খোঁজ করেন। খোঁজ মিলছিল না শিশুর। এক ঘণ্টা বাদে পুকুরে নেমে খোঁজ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। জলের তলা থেকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ওই শিশুটিকে। তাকে প্রথমে টাকি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় রীতিমতো গ্রামের শোকের ছায়া নেমে পড়েছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বসিরহাটে জেলা হাসপাতালের পুলিশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে খেলতে গিয়ে পুকুরে পড়ে গেল? না কেউ ঠেলে ফেলে দিল? তদন্ত শুরু করেছে হাসনাবাদ থানার পুলিশ। পুলিশ প্রাথমিকভাবে মনে করছে খেলতে গিয়েই কোনওভাবে শিশুটি পুকুরে পড়ে গিয়ে থাকতে পারে, তবুও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে কথা বলছেন তদন্তকারীরা। শিশুটির বাবা-মা কথা বলার মতো পরিস্থিতিতে নেই।