Mysterious Death: মেয়ের পচাগলা দেহ উদ্ধারের একদিনের মাথায় মায়ের রহস্যজনক মৃত্যু, কী হচ্ছে বরাহনগরে

Mysterious Death: চাঞ্চল্যকর ঘটনা বরাহনগরের টি এন চ্যাটার্জি রোড এলাকায়। ওই এলাকাতেই একটি লালবাড়ি বলে একটি আবসানে থাকতেন ৫২ বছরের দেবী ভৌমিক, ও তাঁর ২১ বছরের মেয়ে দেবলীনা ভৌমিক।

Mysterious Death: মেয়ের পচাগলা দেহ উদ্ধারের একদিনের মাথায় মায়ের রহস্যজনক মৃত্যু, কী হচ্ছে বরাহনগরে
শোরগোল এলাকায় Image Credit source: TV-9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 01, 2024 | 7:48 PM

বরাহনগর: বাড়ি থেকে তীব্র পচা গন্ধ। প্রতিবেশী ঢুঁ মারতেই মায়ের উত্তর। তিনদিন আগে তো আমার মেয়ে মারা গিয়েছে। পুলিশ দেহ থানায় নিয়ে যেতে না যেতেই একদিনের মধ্যে আবার সেই মায়ের মৃতদেহ উদ্ধার হল ফ্ল্যাট থেকে। চাঞ্চল্যকর ঘটনা বরাহনগরের টি এন চ্যাটার্জি রোড এলাকায়। ওই এলাকাতেই একটি লালবাড়ি বলে একটি আবসানে থাকতেন ৫২ বছরের দেবী ভৌমিক, ও তাঁর ২১ বছরের মেয়ে দেবলীনা ভৌমিক। একদিনের ব্যবধানে পরপর দুজনের রহস্যজনক মৃত্যুতে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছডিয়েছে এলাকায়। ঘটনার তদন্ত শুরু করে বরাহনগর থানার পুলিশ। 

এলাকার এক বাসিন্দা বলছেন, “কী হয়েছে তা সঠিকভাবে বলা কঠিন। কিন্তু গতকাল সকাল থেকে আমরা একটা বাজে গন্ধ পাচ্ছিলাম। যত বেলা বাড়ছিল সেটা আরও তীব্র হতে শুরু করে। আমরা ওদের বাড়িতে বেল বাজালে ওই মহিলা বেরিয়ে এসে বলেন মেয়ে মারা গিয়েছেন। উনিই থানায় ফোন করেন। পুলিশ এসে মেয়েটির দেহ নিয়ে যায়। পুলিশই জানায় ঘটনাটি প্রায় তিনদিন আগে হয়েছে। এখন পুলিশ আবার ওই মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার করে।”

এলাকার আর এক বাসিন্দা বিশ্বনাথ সাহা বলেন, “কাল হঠাৎ এলাকার লোকজন দুর্গন্ধ পান। তখন দেবী ভৌমিক বেরিয়ে বলেন আমার মেয়ে তো তিনদিন হল মারা গিয়েছে। কেন কাউকে খবর দেওয়া হয়নি তা জিজ্ঞেস করা হলে উনি বলেন আমি তো ভেবেছিলাম বেঁচে উঠবে। পরবর্তীকালে আমরা থানায় ফোন করি। থানার লোকজন এসে ডেড বডি নিয়ে যায়। আজ ময়নাতদন্তের কথা ছিল। আজ দেবী ভৌমিকের যাওয়ার কথা। কিন্তু আজই হঠাৎ কী কারণে তিনি মারা গেলেন আমরা জানি না। আমরা ওনার স্বামী দেবাশিস ভৌমিককে ফোনে জানিয়েছিলাম। কিন্তু, তিনি বডি নেবেন না বলে জানিয়ে দেন।” বিশ্বনাথবাবু আরও বলেন, “দেবী ভৌমিক স্কিৎজোফ্রেনিয়ার পেশেন্ট ছিলেন বলে শুনেছি। ওনার স্বামী ব্ল্যাড ব্যাঙ্কের কর্মী। ২০০৬ সাল থেকে ওনাদের একটা সেপারেশনের মামলা চলছে। কোভিডের সময় দেবী ভৌমিকের মা-বাবা দুজনেই মারা যায়। তারপর আমরাই এই অঞ্চলের মানুষেরা ওনাদের পাশে ছিলাম।”