Bangladeshi Infiltrators: স্বরূপনগরে ফের গ্রেফতার চার বাংলাদেশি, কী কারণে প্রবেশ খতিয়ে দেখছে পুলিশ
Basirhat Infiltrators: বিএসএফের হাতে ধরা পড়ে যান তাঁরা। বিএসএফ ধৃতদের স্বরূপনগর থানার পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতরা বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জ, সাতক্ষীরা ও ঢাকার বাসিন্দা।
উত্তর ২৪ পরগনা: সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে ঢোকার সময়ে গ্রেফতার চার বাংলাদেশি (Bangladeshi Infiltrators )। তাঁদের মধ্যে মহিলাও রয়েছেন।বসিরহাট (Basirhat) মহকুমার স্বরূপনগর থানার হাকিমপুর সীমান্তের ঘটনা।
মঙ্গলবার ভোররাতে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত পেরিয়ে অবৈধভাবে এ দেশে প্রবেশ করার সময় এক মহিলা সহ ৪ বাংলাদেশি ভারতে ঢোকার চেষ্টা করছিলেন। ১১২ নং সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ানরা সে সময় রুটিন প্রহরায় ছিলেন।
বিএসএফের হাতে ধরা পড়ে যান তাঁরা। বিএসএফ ধৃতদের স্বরূপনগর থানার পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতরা বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জ, সাতক্ষীরা ও ঢাকার বাসিন্দা। তাঁদের কাছে কোনও বৈধ কাগজপত্র ছিল না।
ধৃতদের মধ্যে একজনের বাড়ি ঢাকা শহরে। সীমান্ত পেরিয়ে ঢাকার নাগরিক এ দেশে ঢুকে পড়ায় সন্দেহ দানা বাঁধছে। ধৃত ৪ বাংলাদেশিকে বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হবে।
জুলাই মাসেই স্বরূপনগর সীমান্তে ৪ মহিলা সহ ৯ বাংলাদেশি গ্রেফতার করা হয়। বসিরহাট মহকুমার স্বরূপনগর থানার বিথারি-হাকিমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভারত-বাংলাদেশ তারালী সীমান্তে সন্দেহজনকভাবে ৯ জনকে ঘোরাফেরা করতে দেখা গিয়েছিল।
সেই সময় টহলরত ১১২ নম্বর ব্যাটালিয়নের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ানরা তাঁদের আটকে প্রশ্ন করেন। কথায় একাধিক অসঙ্গতি ধরা পড়ে। তল্লাশির পর বিএসএফ দেখে তাঁরা বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই ভারতে ঢুকেছেন। সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ানরা ওই বাংলাদেশিদের আটক করে স্বরূপনগর থানার পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
ধৃতদের মধ্যে ৪ মহিলা ও পাঁচ পুরুষ ছিলেন। এই ৯ বাংলাদেশির বাড়ি যশোহর ও খুলনা জেলার বিভিন্ন গ্রামে। আবারও প্রায় ওই এলাকা থেকেই গ্রেফতার বাংলাদেশি। ধৃতদের সঙ্গে অন্য কোনও চক্রের যোগ রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সম্প্রতি কলকাতার বুক থেকে এসটিএফের জালে ধরা পড়েছে জেএমবি মডিউল। তাদের লিঙ্কম্যান হিসাবে উঠে এসেছে লালু ওরফে রাহুল সেন নামে এক যুবকের নাম। লালু জঙ্গিদের লজিস্টিক সাপোর্ট দিত। জানা যাচ্ছে, সীমান্ত এলাকায় সক্রিয় লালু সেন। সীমান্তের পরিভাষায়, লালু মূলত ‘ধূরের’ কাজ করত। নথি ছাড়াই মানুষকে এপার থেকে ওপার পৌঁছে দেওয়া বা সীমান্ত পেরিয়ে বিভিন্ন জিনিসের আদানপ্রদান- এসব করত লালু। তদন্তকারীরা মনে করছেন, লালুর মতো এরকম অনেক ‘ধূর’ সীমান্তে সক্রিয়। সীমান্তরক্ষী বাহিনী আরও নজরদারি চালাচ্ছে এলাকায়।
উল্লেখ্য, দু’দিন আগেই নদিয়ায় সীমান্ত থেকে সিভিক ভলেন্টিয়ারের হাতে আটক হন দুই অনুপ্রবেশকারী। কাঁটা তার পেরিয়ে এদেশে ঢোকার চেষ্টা করতেই তাঁরা ধরে পড়ে যান। দু’জনই খুলনা জেলার বাসিন্দা। বাংলাদেশ থেকে শিমুলিয়ার মহেশপুর হয়ে তারা ভারতে প্রবেশ করে। দু’জনের সঙ্গে লিঙ্ক ম্যান হিসেবে কাজ করছিল কুকরাদা গ্রামের চাপড়া থানার রবিউল মণ্ডল। তবে কী কারণে বাংলাদেশ থেকে এসছে সেই বিষয়ে তদন্ত করছে ভীমপুর থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন: গুলাব, তৈরি হয়েছে নতুন কাঁটা! দক্ষিণবঙ্গের এই জেলাগুলিতে বিপদ রয়েই গিয়েছে