Basirhat: দুর্যোগের আগেই ত্রাণ পৌঁছল সুন্দরবনে!

Sundarban fund: বসিরহাট মহকুমার হাড়োয়া ব্লকের শালিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকা এখনও পর্যন্ত জলমগ্ন রয়েছে।

Basirhat: দুর্যোগের আগেই ত্রাণ পৌঁছল সুন্দরবনে!
ত্রাণ পৌঁছে যাচ্ছে সুন্দরবনে
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 29, 2021 | 11:51 AM

বসিরহাট: গত সপ্তাহের বৃষ্টিতে এখনও জলে ভেসে রয়েছে সুন্দরবনের একাংশ। তার উপর ফের বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। সেই কারণে দুর্যোগের আগেই দুর্গতদের ত্রাণ পাঠালো প্রশাসন।

জানা গিয়েছে, বসিরহাট মহকুমার হাড়োয়া ব্লকের শালিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকা এখনও পর্যন্ত জলমগ্ন রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় রয়েছে তালবেড়িয়া গ্রাম। প্রায় ৩০০ বেশি পরিবার বসবাস করে সেখানে। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, নিম্নচাপের বৃষ্টিতে একশোর বেশি কাঁচাবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তারই মধ্যে নতুন করে ঘূর্ণাবর্তে আবার দুর্যোগের আশঙ্কা উপকূলের জেলাগুলিতে।

বিশেষ করে বসিরহাট মহকুমার হাড়োয়া, সন্দেশখালি ও মিনাখাঁ একাধিক ব্লকের বিভিন্ন গ্রামে অতিরিক্ত বৃষ্টির জল জমে ক্ষতির মুখে সাধারণ মানুষ। দুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে আগাম তাঁদের বাড়ি-বাড়ি চাল, ডাল, আলু, সর্ষের তেল পাঠিয়ে দেওয়া হয়। পাশাপাশি মাস্ক ও স্যানিটাইজ়ার সহ আরও কিছু শুকনো খাবার যেমন চিড়ে, গুড় ও বাতাসা সহ ত্রিপল নিয়ে সকাল-সকাল হাজির হলেন হাড়োয়া ব্লকের জনপ্রতিনিধিরা।

তারা জানান, ঘূর্ণিঝড় গুলাবের আশঙ্কা কেটে গেলেও আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানাচ্ছে ২ মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগণা ও বসিরহাট মহকুমা জুড়ে ভারী বৃষ্টি হবে। এমনিতেই এই এলাকা গুলি জলমগ্ন অবস্থায় রয়েছে। তার মধ্যে আবারও যদি বৃষ্টি হয় তাহলে অবস্থা খুবই খারাপ হবে। তার জন্য আগাম সর্তকতা হিসাবে দুর্গতদের পাশে দাঁড়িয়েছেন তারা।

সাধারণ এক বাসিন্দা বলেন,”সরকারি সাহায্যে পেয়ে আমরা ভীষণ খুশি। কারণ এখানকার অধিকাংশ এলাকা জলমগ্ন অবস্থায় রয়েছে। তার উপর আবারও বৃষ্টি হবে শুনছি। এবার বৃষ্টি হলে আমাদের বাকি যেটুকু সম্বল আছে ভেসে যাবে। এই অবস্থায় সরকারের এই উদ্যোগ স্বাগত জানাচ্ছি।” ত্রাণ বিতরণে উপস্থিত ছিলেন উত্তর ২৪ পরগণা জেলা পরিষদের সদস্য সিরাজুল ইসলাম, শালিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান কৃষ্ণা মন্ডল ও উপপ্রধান মন্টু মোল্লা সহ অন্যান্য জনপ্রতিনিধিরা।

শুধু ত্রাণ নয়, ভারী বৃষ্টিপাতের কথা মাথায় রেখে সুন্দরবনের দ্বীপাঞ্চল ও উপকূলবর্তী নীচু এলাকার বাসিন্দাদের সরানোর কাজ শুরু করল প্রশাসন। সোমবার বিকেলে সাগর ব্লক প্রশাসন এবং পুলিশের তরফে ভাঙন কবলিত ঘোড়ামারা দ্বীপের বাসিন্দাদের সরিয়ে আনা হয়েছে।

সাগরের এসডিপিও দীপাঞ্জন চট্টোপাধ্যায়, ওসি দেবাশিস রায় এবং ব্লকের বিপর্যয় মোকাবিলা আধিকারিকদের উপস্থিততে ঘোড়ামারা দ্বীপের চুনপুরি, হাটখোলা ও খাসিমারা এলাকায় উদ্ধারকার্য চলছে। বাঁধের ধার থেকে সব মিলিয়ে প্রায় ১১০০ জনকে সাগরদ্বীপে সরিয়ে আনা হয়েছে। আপতত তাঁদেরকে স্থানীয় বামনখালি সাইক্লোন সেন্টারে রাখা হয়েছে।

অন্যদিকে বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য এনডিআরএফের দুটি দলকে নামখানা এবং ডায়মন্ড হারবারে মোতায়েন রাখা হয়েছে। এছাড়া ঘোড়ামারা, সাগর, মৌসুনি দ্বীপ ও গোসাবায় একটি করে এসডিআরএফের দলকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

আরও পড়ুন: Maldah: ‘ওরা গলায় কোপ মেরেছে, কান কেটে দিয়েছে, একটা আঙুলও নাই’, শিউরে ওঠার মতো ঘটনা মালদহে