‘রক্ষকই ভক্ষক’! বাংলাদেশি মহিলাকে সীমান্তে আটকে ‘ধর্ষণ’, ধৃত বিএসএফ জওয়ান
নির্যাতিতা ওই মহিলা তাঁর বয়ানে জানিয়েছেন, গাইঘাটা থানার খড়ের মাঠের সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে যাচ্ছিলেন তিনি ও তাঁর বন্ধু। ছিল না কোনও বৈধ নথি। চোরাই পথে সীমান্ত পার হতে দেখে ওই মহিলা ও তাঁর বন্ধুকে আটক করে বিএসএফের ১৫৮ নম্বর ব্যাটেলিয়নের জওয়ানরা।
উত্তর ২৪ পরগনা: সীমান্তরক্ষী বাহিনীদের হেফাজতে থাকা এক বাংলাদেশি মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার এক বিএসএফ জওয়ান। জানা গিয়েছে নির্যাতিতা মহিলা বাংলাদেশের গোপালগঞ্জের বাসিন্দা।
নির্যাতিতা ওই মহিলা তাঁর বয়ানে জানিয়েছেন, গাইঘাটা থানার খড়ের মাঠের সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে যাচ্ছিলেন তিনি ও তাঁর বন্ধু। ছিল না কোনও বৈধ নথি। চোরাই পথে সীমান্ত পার হতে দেখে ওই মহিলা ও তাঁর বন্ধুকে আটক করে বিএসএফের ১৫৮ নম্বর ব্যাটেলিয়নের জওয়ানরা। অভিযোগ বিএসএফের হেফাজতে থাকাকালীন, ওই মহিলাকে ধর্ষণ করেন কর্তব্যরত বিএসএফ অফিসার রমেশ্বর কয়াল। নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবারই ওই বিএসএফ জওয়ানকে গ্রেফতার করা হয়।
নির্যাতিতার কথায়, “আমি আর আমার বান্ধবীকে সীমান্তেই আটক করে জওয়ানরা। আমরা ওদের সঙ্গেই ক্যাম্পে আসি। বুধবার রাতে, বিএসএফ অফিসার রমেশ্বর কয়াল আমায় টেনে নিয়ে যায়। আমার বন্ধুকে অন্য ঘরে রাখা হয়। রাতেই আমায় অন্য ঘরে টেনে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন ওই জওয়ান।”
যদিও, ধৃত বিএসএফ জওয়ান রমেশ্বর কয়াল স্পষ্টই জানিয়েছেন তিনি কোনও জোর করেননি। তাঁর নামে মিথ্য়া অভিযোগ করা হচ্ছে। গাইঘাটা থানার পুলিশ জানিয়েছে, ওই বাংলাদেশি মহিলা ও তাঁর বন্ধু তিন বছর ধরে ভারতেই রয়েছেন। দুজনেই বাংলাদেশের গোপালগঞ্জের বাসিন্দা। গুজরাতে একটি শাড়ির ব্যবসাও আছে তাঁদের। সম্প্রতি, দালালকে ৩০ হাজার টাকা দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশ যাচ্ছিলেন তাঁরা। কোনও প্রামাণ্য নথি না থাকায় তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। এরপর ওই মহিলা ও তাঁর সঙ্গী বিএসএফের ক্যাম্পেই ছিলেন। সেখানেই তাঁকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ করেন বাংলাদেশি মহিলা। অভিযুক্ত বিএসএফ জওয়ান রমেশ্বর কয়াল ও অবৈধভাবে বাংলাদেশে যাওয়ার জন্য উদ্যত হওয়া দুই মহিলাকে বনগাঁ মহকুমা আদালতে পাঠানো হয়েছে। আরও পড়ুন: ‘অকৃতকার্য’ রেজাল্ট বদলে গেল কৃতকার্যে! বিক্ষোভেই কি ‘ম্যাজিক’, প্রশ্ন শিক্ষামহলের