ONGC: ওএনজিসির তেল সন্ধানকারী মেশিন-তার চুরি, পাকড়াও ছয় দুষ্কৃতী
ONGC: কিন্তু গত এক মাস ধরে মধ্যপ্রদেশের চার দুষ্কৃতী মনাক লাল, শ্রীকান্ত মেহেরা, অমর ঠাকুর ও কৃষ্ণ কুমার রাজ্যের দুই দুষ্কৃতী মনিরুল ও সুশান্ত সঙ্গে যোগসাজস করে।
বসিরহাট: বড়সড় চক্রের পর্দা ফাঁস করল রাজ্য পুলিশ। ওনএনজিসির তেল সন্ধানকারী মেশিন ও তার চুরির খেসারত দিতে হল ছয় দুষ্কৃতীকে। পুলিশের হাতে পাকরাও ছ’জন। বেশ কয়েক বছর আগে উত্তর ২৪ পরগণার অশোকনগরে তেলের সন্ধান পেয়েছিল ওএনজিসি। তারপর থেকে ওই এলাকার ১৫০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধে হাওড়া, হুগলি, ২৪ পরগণা সহ বসিরহাটের বিভিন্ন প্রান্তে ওএনজিসি তেলের সন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে। আর সেই তেলের সন্ধান চালাতে গিয়ে ব্যবহৃত হয় ফিল্ড ডিজিটাইজ ইউনিট নামক এক যন্ত্র। সেই রকমই কাজ চলছিল বসিরহাটের মাটিয়া থানার লালপোল এলাকায়।
কিন্তু গত এক মাস ধরে মধ্যপ্রদেশের চার দুষ্কৃতী মনাক লাল, শ্রীকান্ত মেহেরা, অমর ঠাকুর ও কৃষ্ণ কুমার রাজ্যের দুই দুষ্কৃতী মনিরুল ও সুশান্ত সঙ্গে যোগসাজস করে। তারপর এইসব মেশিন ও তার চুরি করছে তারা গত এক মাস ধরে। ইতিমধ্যে বসিরহাটের মাটিয়া থানার চৈতা গ্রাম পঞ্চায়েতের লালপোল এলাকায় ফিল্ড ডিজিটাইজ ইউনিট ও তার চুরি হয়েছিল এই অভিযোগ করা হয়েছিল ওএনজিসি তরফ থেকে।
তদন্ত নেমে পুলিশ জানতে পারে এইসব চোর সাধারণ চোর নয়। এর সঙ্গে বড়সড় কোনও চক্র জড়িয়ে রয়েছে। তারপর চুরি যাওয়া এলাকায় খতিয়ে দেখেন বাদুড়িয়ার এসডিপিও অভিজিৎ সিনহা মহাপাত্র, মাটিয়া থানার ওসি তাপস ঘোষ ও বাদুড়িয়ার সিআই তিতাস কুমার মিত্র। তদন্ত নেমে জানা যায় এই চক্রের পিছনে ভিন্ন রাজ্যের দুষ্কৃতীরা জড়িত। তাদেরকে ট্র্যাক করে হাওড়া জেলার গোলাবাড়ি ও দক্ষিণ ২৪ পরগণার কাকদ্বীপ থেকে গ্রেফতার করা হয়।
ধৃতরা পুলিশি জেরায় শিকার করেছে, গুজরাটের একটি বহুজাতি সংস্থাকে তারা মালগুলি বিক্রি করত। পাশাপাশি ওএনজিসিকে দুর্বল করার জন্য এই কোম্পানির সঙ্গে তাদের একটা অশুভ আতাঁত তৈরি হয়েছিল। ধৃত এই ৬ দুষ্কৃতীকে শনিবার বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হবে। তাদেরকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছে মাটিয়া থানার পুলিশ।