টিভি নাইন বাংলার খবরের জের, হাসপাতালে বেড পেলেন পাইকপাড়ার বৃদ্ধ
COVID-19: সোমবার রাত থেকে হু হু করে নামতে শুরু করে অমরেশ্বরবাবু অক্সিজেনের মাত্রা। রাতে ৭৪-৭৫ পর্যন্ত নেমে গিয়েছিল। অনেক কষ্টে মঙ্গলবার সকালে একটা অক্সিজেন কনসেনট্রেটর আনানো হয় বাড়িতে।
পাইকপাড়া: বহু খারাপের মধ্যেও ভাল খবর। টিভি নাইন বাংলার খবরের জের। অবশেষে হাসপাতালে বেড পেলেন পাইকপাড়ার (Paikpara) বৃদ্ধ। মঙ্গলবার সকাল থেকে টিভি নাইন বাংলা ঠায় ছিল তাঁদের আবাসনে। ক্যামেরার সামনে ভেঙে পড়েন তাঁর স্ত্রী মানসীদেবী। স্বামীর জন্য একটি বেডের আবেদন করেন। এরপরই ফোন যায় স্বাস্থ্য দফতর থেকে। তারাই অ্যাম্বুলেন্স পাঠিয়ে অমরেশ্বরবাবুকে খড়দহের বলরাম হাসপাতালে ভর্তি করানোর ব্যবস্থা করে।
পাইকপাড়ার অমরেশ্বর বন্দ্যোপাধ্যায়ের বয়স ৭৯ বছর। স্ত্রী মানসী বন্দ্যোপাধ্যায়ের বয়স ৭৫-এর কাছাকাছি। তিনিই জানান, গত ৩০ এপ্রিল কোভিড টিকার দ্বিতীয় ডোজ় নিয়েছিলেন স্বামী। ৪ মে থেকে জ্বর আসে। সঙ্গে কোভিডের উপসর্গ। পরীক্ষা করানো হলে সোমবারই রিপোর্ট হাতে পান। দেখেন কোভিজ পজিটিভ। বাড়িতে স্বামী-স্ত্রী ছাড়া আর কেউ নেই। চরম অসহায়তা গ্রাস করতে থাকে এই বৃ্দ্ধাকে।
সোমবার রাত থেকেই অক্সিজেনের মাত্রা নামছিল অমরেশ্বরবাবুর। মঙ্গলবার সকালে একটি অক্সিজেন কনসেনট্রেটর বাড়িতে পাঠানো হলেও তাতে অক্সিজেনের মাত্রা ৮০-এর বেশি ওঠেনি। অসহায় স্ত্রী ঘরময় ছুটে বেড়াচ্ছিলেন। প্রতি মুহূর্তে বাজছিল মুঠোফোন। স্বাস্থ্য দফতরে আগেই খবর দিয়েছিলেন। এরইমধ্যে টিভি নাইন বাংলার পর্দায় তাঁর অসহায় পরিস্থিতি তুলে ধরা হলে ফোন আসে স্বাস্থ্য দফতর থেকে।
তারাই অ্যাম্বুলেন্স পাঠিয়ে অমরেশ্বর বন্দ্যোপাধ্যায়কে খড়দহের হাসপাতালে ভর্তি করার ব্যবস্থা করে। তবে বাড়ি পাইকপাড়া হওয়ায় কলকাতার কোনও হাসপাতালে ভর্তি করানো যায়নি। নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলরাম হাসপাতালে। মানসীদেবীর আবেদন, স্বামীর বয়স বেশি। নানা সমস্যা রয়েছে। ঠিকমত চিকিৎসা যেন পান।