ফেসবুকে ঘুরছে নম্বর, ফোন করলেই মিলবে অক্সিজেন! দিল্লি পুলিশের জালে বনগাঁর দুই প্রতারক মোবাইল ব্যবসায়ী
অতিমারি পরিস্থিতিতে (West Bengal Corona Update) অক্সিজেন সিলিন্ডার (Oxygen Cylinder) দেওয়ার নামে প্রতারণা। শেষমেশ দিল্লি পুলিশের (Delhi Police) জালে বনগাঁর (Bongaon) দুই মোবাইল দোকানের মালিক।
উত্তর ২৪ পরগনা: অক্সিজেনের (Oxygen Cylinder) জন্য ত্রাহি ত্রাহি রব সর্বত্র। এই পরিস্থিতিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে এমন প্রচুর নম্বর, যেখানে যোগাযোগ করলে অক্সিজেন মেলার আশ্বাস দেওয়া হচ্ছে। তেমনি ভাবেই ওদের দেওয়া নম্বরও সামাজিক মাধ্যম থেকেই খুুঁজে পেয়েছিলেন করোনা আক্রান্ত বেশ কয়েকটি রোগীর পরিবার। ফোন নম্বরে যোগাযোগ করেছিলেন, অক্সিজেন পাওয়ার আশ্বাসে নির্দিষ্ট ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন টাকাও। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মেলেনি অক্সিজেন। অতঃপর মৃত্যু হয়েছে রোগীর। খোদ বাংলার বুকে বসে দিল্লির করোনা আক্রান্ত একাধিক রোগীর পরিবারের সদস্যদের প্রতারণার ফাঁদে ফেলেছিল ওরা। শেষমেশ দিল্লি পুলিশের (Delhi Police) জালে বনগাঁর (Bongaon) দুই মোবাইল দোকানের মালিক।
অক্সিজেন সিলিন্ডার দেওয়ার নাম করে প্রতারণা। চক্রের পাণ্ডা মোবাইল দোকানের মালিক-সহ দু’জনকে গ্রেফতার করল দিল্লি পুলিশের স্পেশ্যাল ক্রাইম ব্রাঞ্চ। সোমবার রাতে গোপালনগর থানা এলাকায় মোবাইল দোকানের ব্যবসায়ী পিন্টু পালকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশের সাইবার ক্রাইমের স্পেশ্যাল ব্রাঞ্চ। অন্যদিকে বনগাঁ থানা এলাকা থেকে সৌরভ সাহা নামে আরও একজনকে গ্রেফতার করা হয়।
প্রাথমিক তদন্তে দিল্লি পুলিশ জানতে পেরেছে যে, ফোন নম্বরগুলো দিয়ে অক্সিজেন দেওয়া হবে বলে টাকা নেওয়া হত, সেই ফোন নম্বরগুলো এই দুই দোকানদারের জেনারেট করা। ওয়েবসাইট করে অক্সিজেন সিলিন্ডার দেওয়ার নাম করে প্রতারণার ফাঁদ পেতেছিল ওরা। কারোর কাছ থেকে ২ হাজার টাকা, কারোর কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা করে নেওয়া হয়েছে।
কিন্তু রোগীর পরিবার শেষমেশ অক্সিজেন সিলিন্ডার পায়নি। গত ৫ মে দিল্লি পুলিশের কাছে এই ধরনের বেশ কয়েকটি অভিযোগ জমা পড়ে। এদের প্রতারণার শিকার হয়ে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে বলে অভিযোগ। মোবাইলের টাওয়ার লোকেট করে তদন্তকারীরা সৌরভ ও পিন্টুর কাছে পৌঁছন।
আরও পড়ুন: শহরে আরও বেশি ছুটবে অটো-সরকারি বাস, জ্বালানি জ্বালা থেকে রেহাই পেতে পথে ই-ভেহিক্যাল: ফিরহাদ
এই দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই চক্রের সঙ্গে জড়িত বাকিদের খোঁজ পাওয়া যাবে বলে পুলিশ মনে করছে। দিল্লিতে এমনিতেই অক্সিজেনের আকাল। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ওয়েবসাইট খুলে ফোন নম্বর দিয়ে এই প্রতারণার ফাঁদ পেতেছিল ওরা।