Panihati Murder: এক জন নয়, ধৃত দু’জনেরই বাবাকে খুন করেছিল আরমান… পানিহাটি কাণ্ডে ফাঁস জটিল রহস্য
Panihati Murder: তদন্তে জানা যাচ্ছে, ২০০৭ সালে শেখ রমজানের বাবা শেখ রিয়াজকে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ ওঠে আরমানের বিরুদ্ধে।
উত্তর ২৪ পরগনা: কেবল শেখ বসিরেরই বাবাকে নয়, শেখ আরমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল শেখ রমজানেরও বাবাকেও খুন করার। এমনকি জেল খেটে বেরিয়ে আসার পর নতুন করে বেপরোয়া হয়ে উঠেছিল আরমান। তাই এই ঘটনায় ধৃত দুই যুবক শেখ বসির ও শেখ রমজান একসঙ্গে বসে শেখ আরমানকে খুনের পরিকল্পনা করেছে। পানিহাটি খুনে সামনে এসেছে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। তদন্তে জানা যাচ্ছে, ২০০৭ সালে শেখ রমজানের বাবা শেখ রিয়াজকে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ ওঠে আরমানের বিরুদ্ধে। এরপর ২০১২ সালে শেখ বসিরের বাবা উজির আলিকেও কুপিয়ে এবং গুলি করে খুনের অভিযোগ ওঠে মহম্মদ আরমানের বিরুদ্ধে। শেখ বসির এবং শেখ আসিফ বয়ানে জানিয়েছে, ১৫ দিন আগে জেল থেকে বেরিয়ে মহম্মদ আরমান শেখ বশির এবং শেখ আসিফকে খুন করার হুমকি দিচ্ছিল। তাদের বাবাকে যেভাবে খুন করেছে, ঠিক সেভাবেই বশির এবং আসিফকে খুন করবে বলে হুমকি দিচ্ছিল সে।
শনিবার সন্ধ্যায় আগরপাড়া নয়াবস্তি এলাকায় আরমানকে একা রাস্তায় ঘুরতে দেখে শেখ বসির ও শেখ আসিফ। তারা তখনই খুনের পরিকল্পনা করে ফেলে। ধারাল অস্ত্র দিয়ে প্রথমে কোপানো হয় আরমানকে। পরে ইট থেঁতলে দেওয়া হয় মাথা। নিজেদের প্রাণহানির আশঙ্কা ও বাবাদের খুনের বদলা নিতেই আরমানকে খুন করেছে বলে জেরায় জানিয়েছে ধৃত দুই যুবক।
পুলিশ এই ঘটনায় আরও দুজনকে গ্রেফতার করেছে। শেখ রমজান এবং টিঙ্কু বাশফোরের কাছ থেকে ২০ কেজি গাঁজা পেয়েছে পুলিশ। এই দুজনও এই খুনের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে বলে পুলিশ মনে করছে। প্রসঙ্গত, শনিবার বিকেলে ছানা আগরপাড়া নয়াবস্তি মৌলানা সেলিম রোড এলাকায় আরমানকে কুপিয়ে খুন করা হয়। একেবারে ঘন বসতিপূর্ণ এলাকাতেই রাস্তায় ফেলে কুপিয়ে খুন করা হয় আরমানকে। তবে ৭ দিনের মধ্যেই পরপর দুটি ঘটনায় পানিহাটির আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এলাকায় পুলিশি প্রহরা বাড়ানোর দাবি তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ইতিমধ্যেই খুনে ব্যবহৃত চপার উদ্ধার করেছে পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে আইপিসি-ক ৩০২, ৩৪,৩২৩ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। খুন, ধারালো অস্ত্র ব্যবহার করে খুনের ধারায় মামলা রুজু হয়েছে।
আরও পড়ুন: Jhalda Councillor Murder: ৭ দিন পার, ঝালদার কাউন্সিলর খুনে আজ ঘটনাস্থলে ফরেনসিক টিম