R G Kar: তরুণী চিকিৎসকের নিথর শরীর ১ ঘণ্টা পড়ে রইল বন্ধ বাড়ির দরজার বাইরে, বাবা-মা তখনও জানেনই না, হাসপাতাল-থানা দৌড়চ্ছেন!

R G Kar: কিন্তু বাবা-মা কই? বাবা -মা যে তখন হাসপাতাল থেকে থানার পথে। ময়নাতদন্তের পর যখন দেহ বাইরে নিয়ে যাচ্ছিল পুলিশ, তখন বিক্ষোভ শুরু হয়। পুলিশের সঙ্গে চরম ধস্তাধস্তি হচ্ছে বিক্ষোভকারীদের। পুলিশ নিরাপত্তা দিয়ে মৃত চিকিৎসকের মামা-বাবাকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে।

R G Kar: তরুণী চিকিৎসকের নিথর শরীর ১ ঘণ্টা পড়ে রইল বন্ধ বাড়ির দরজার বাইরে, বাবা-মা তখনও জানেনই না, হাসপাতাল-থানা দৌড়চ্ছেন!
বাড়ির বাইরে তরুণী চিকিৎসকের দেহImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 10, 2024 | 12:17 AM

উত্তর ২৪ পরগনা: সকালে প্রথমে বলা হয়েছিল তাঁদের মেয়ে নাকি আত্মঘাতী হয়েছেন। পরে হাসপাতালে পৌঁছানোর পরও তাঁদেরকে মেয়ের দেহ দেখতে ‘বাধা’। এরপর ময়নাতদন্তের পর দেহ হাসপাতাল থেকে কার্যত ‘লুঠ’ পুলিশের। বিধ্বস্ত বাবা-মা তখনও জানেন না তাঁদের মেয়ের দেহ কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এরপর পানিহাটির বন্ধ বাড়ির দরজার বাইরে এসে পৌঁছয় তরুণী চিকিৎসকের দেহ। বাবা-মা তখনও জানেন না। বাড়ি এসে পৌঁছতেই পারেননি। আরজি কর হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের ‘খুনে’ একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ। প্রথম থেকেই কাঠগড়ায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

সকালে খবর শোনা মাত্রই পাড়া প্রতিবেশীরা বাকরুদ্ধ। বাবা-মা ছুটেছিলেন হাসপাতালে। আর বাড়ির সামনে ছিল শোকস্তব্ধ প্রতিবেশীদের জটলা। সন্ধ্যায় আচমকাই সেই স্তব্ধতা ভাঙে সাইরেনের আওয়াজ। তখনও বুঝতেই পারেননি প্রতিবেশীরা কী হচ্ছে। এসে পৌঁছয় তাঁদের পাড়ার মেয়ের নিথর দেহ। কিন্তু শববাহী গাড়ি তো এসে পৌঁছেছে, বাবা মা কই? প্রতিবেশীরা তখনও ঠাওর করতে পারছেন না। তরুণী চিকিৎসকের নিথর দেহ পড়ে থাকে তাঁরই বন্ধ বাড়ির দরজার সামনে। দীর্ঘক্ষণ ধরেই এই দৃশ্য ধরা পড়ে।

কিন্তু বাবা-মা কই? বাবা -মা যে তখন হাসপাতাল থেকে থানার পথে। ময়নাতদন্তের পর যখন দেহ বাইরে নিয়ে যাচ্ছিল পুলিশ, তখন বিক্ষোভ শুরু হয়। পুলিশের সঙ্গে চরম ধস্তাধস্তি হচ্ছে বিক্ষোভকারীদের। পুলিশ নিরাপত্তা দিয়ে মৃত চিকিৎসকের মামা-বাবাকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। সে সময়েই বিস্ফোরক অভিযোগ বাবা-মায়ের। তাঁদের সন্তানকে পুলিশ কোথায় নিয়ে গেল, সেটা তাঁরা জানতে পারেননি তখনও। ক্ষোভে ফেটে পড়েন বাবা। বলেন, “ডেডবডিটা নিয়ে চলে গেল, আমার মেয়েটাকে কোথায় নিয়ে চলে গেল, জানি না।”

আসলে দেহ যে তখন রওনা দিয়েছে বাড়ির উদ্দেশেই, বাবা-মা জানতেই পারেননি। যখন হাসপাতাল থেকে থানা দৌড়াদৌড়ি করছেন তাঁরা, তখন তাঁদের ‘চোখের মণি’র নিথর শরীর পড়ে বাড়ির বন্ধ দরজার বাইরে। প্রতিবেশীরা বলছেন, “আমাদের তো অ্যাসেট চলে গেল… এবার মেয়েরা ভয় পাবে ডাক্তার হতে।” এক প্রতিবেশী বলেন, “বাবা-মা জানেনই না, এদিকে বডি নিয়ে চলে এসেছে। কী বলবেন বলুন!” যদিও বাড়ির সামনে আগে থেকেই ছিলেন এলাকার বিধায়ক নির্মল ঘোষ। তিনি বলেন, “সিট গঠিত হবে। কালপ্রিট ধরে কঠোর শাস্তি দিতে হবে। ওকে মেরে ফেলেছে।”

আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)