Rahara Chaos: মেলার জন্য ৫০ হাজার টাকার চাঁদা, না দেওয়ার হোটেলে ভাঙচুর, কাঠগড়ায় তৃণমূল
Rahara Chaos: ততক্ষণে অভিযুক্তরা সেখান থেকে চলে যান। হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করছে পুলিশ।
উত্তর ২৪ পরগনা: হোটেলে মেলার চাঁদা নিয়ে জুলুমবাজির অভিযোগ উঠল তৃণমূল (TMC) নেতার ভাইয়ের বিরুদ্ধে। চাঁদা না দেওয়ায় হোটেল কর্মীদের মারধর ও হুমকির অভিযোগ। ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় উত্তেজনা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় রহড়া থানার পুলিশ। যদিও তৃণমূল নেতার পক্ষ থেকে অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। খড়দহ কল্যাণী এক্সপ্রেসের ধারে এক হোটেলে মেলার জন্য চাঁদা নেওয়ার জন্য যান স্থানীয় তৃণমূল নেতা শুকুর আলির ভাই। ৫০ হাজার টাকা চায় বলেন অভিযোগ। হঠাৎ করে এত পরিমাণ টাকা দিতে অস্বীকার করেন হোটেল মালিক। হোটেল মালিকের বক্তব্য অনুযায়ী, সেই সময়ে তৃণমূল নেতার ভাই সেখান থেকে চলে যান। তাঁরা ভেবেছিলেন বিষয়টা মিটে গিয়েছে। কিন্তু কিছুক্ষণের দলবল নিয়ে হোটেলে ঢোকেন তিনি। গালিগালাজ করতে থাকেন। হোটেলের কর্মীরা প্রতিরোধ করলে, তাঁদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। দেখে নেওয়ারও হুমকি দেওয়া হয়।
পঞ্চায়েত এলাকার ব্লক সভাপতি শুকুর আলির ভাইয়ের এলাকায় ব্যাপক দাপট রয়েছে। সেই দাপট দেখিয়েই তিনি চাঁদা তুলছিলেন বলে অভিযোগ। হোটেল কর্মীদের মারধরের ঘটনার খবর পেয়ে রহড়া থানার পুলিশ পৌঁছয়। কিন্তু ততক্ষণে অভিযুক্তরা সেখান থেকে চলে যান। হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করছে পুলিশ।
এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে। গোটা ঘটনা অস্বীকার করেছে পঞ্চায়েতের উপপ্রধান। তিনি বলেন, “এলাকার ১৫০ বছরের পুরনো একটি মেলা। সবাই এখানে স্বেচ্ছায় অনুদান দেন। কারোর ওপরেই জোর করা হয় না। ৭-৮ দিন ধরে মেলা চলে। মেলা শেষ হয়ে গিয়েছে, এই হোটেল মালিকের অনুদান দেওয়া বাকি ছিল। সেটাই চাইতে গিয়েছিল ওরা। কোথাও কোনও ভাঙচুর হয়নি। অভিযোগ ভিত্তিহীন।”